ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বাঘার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পথসভায় ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৫১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
যে স্থানে আ’লীগ দলীয় প্রার্থীর পথসভা হওয়ার কথা ছিলো, সেই স্থানে আকষ্মিক ভাবে ককটেল বিস্ফরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঐ এলাকার  জনমনে ব্যাপক ভীতি সৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে দলীয় পথসভা। শনিবার দুপুরে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের টলটলি পাড়ায় এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে । তবে এ ঘটনায় তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।
 সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিনের বাড়িতে পৃথকভাবে দুটি ককটেল বিস্ফোরন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল বিম্ফোনের আলামত দেখেন। তবে এই ককটেল বিম্ফোনের ঘটনায় কেউ কোন হতাহত হয়নি।
বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, আগামী ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার আড়ানী,বাউসা এবং চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ  একেক দিন-একেক ইউনিয়নে গিয়ে পাড়া-মহল্লায় ভোট চাওয়া সহ বিভিন্ন বাজার এবং মোড় এলাকায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পথসভা করে থাকি । একই সাথে বর্তমান সরকারের  উন্নয়নকে গতিশীল করার লক্ষে দলীয় প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে ভোট চাই। 
 
সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল থেকে আমি এবং উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, আ’লীগ নেতা মাসুদ রানা তিলু, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, আড়ানী পৌর আ’লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান সাইদ, বাঘা পৌর সভার সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু , দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান  শফিক ও বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন এবং ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হোসেন সহ আমরা একদল নেতা-কর্মী ঐ ইউনিয়নের তেতুলিয়া বাজার, হরিনা বাজার, আড়পাড়া গ্রাম, পিরগাছা মোড় ও ছিরামপাড়া এলাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করি। সর্বশেষ দুপুরে ফতেপুর বাউসা এলকায় গনসংযোগ শেষে প্রার্থীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করি। 
 
তিনি বলেন, আমাদের আজকের পরিকল্পনা ছিলো আ’লীগ থেকে বহিস্কৃত (বিদ্রোহী)প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান এর এলাকা টলটলি পাড়া মোড়ে বিকেলে একটি পথসভা করবো। হটাৎ করে খবর পাই সেখানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে । এ ঘটনায় ঐ অঞ্চলের মানুষের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়ায় পরে আমরা সেই পথসভা  স্থগিত ষোষনা করি।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আক্তারী জানান, সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন মোটরসাইকেল সোডাউন নিয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ককটেল বিস্ফোরন করে চলে যায়। তারপর পুলিশকে কয়েকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিফ করেনি।
আশরাফ আলী মলিনের স্ত্রী পলি খাতুন জানান, আমরা বিএনপি করি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেনা। আমরা কাউকে সহযোগিতাও করছিনা। কারপরও কথায় কি হামলা হলো, আমার স্বামীকে আসামী করা হয়েছে। আমরা কি করবো। আমার বাড়ি পাশে স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আ.লীগ করেন। তাদের দলের মধ্যে কি দ্বন্দ্ব আমরা জানিনা। আমার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরন করা হয়েছে। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক পুলিশ জানালে ঘটনাস্থলে এসে ককটেল বিম্ফোনের আলামত দেখেন।  
এ বিষয়ে সরকার দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক জানান, আমি দুপুরে নেতাকর্মী নিয়ে দিঘা ও ঘাগড় বাড়িয়া এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। যে এলাকায় ককটেল বিম্ফোনের ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকা থেকে আমি প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরে ছিলাম। তবে কেউ সুবিধা নেওয়ার জন্য আমার উপর দোষ চাপানোর জন্য চেষ্টা করছে।
 
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। কে-বা কাহারা  জনমনে ভীতি সঞ্চয়ের জন্য ককটেল ফুটিয়েছে। তবে এতে কারো কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।