হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক নারীকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার উপজেলার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফতেহপুর গ্রামের ওয়াহেদ মিয়া তার নিজস্ব ভিটের মাটি আটকানোর জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে আঁড় বাঁধছিলেন। এসময় পাশের বাড়ির আব্দুল খালিক এসে ওয়াহেদ মিয়াকে বলেন, এ বাঁশের খুঁটিগুলো তার বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হলে আব্দুল খালিক মিয়া ও তার ছেলেরা এসে ওয়াহেদ মিয়াকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আব্দুল খালিক তার দলবল নিয়ে ওয়াহেদ মিয়ার স্ত্রী সরলা বেগমকে (৪০) ঘর থেকে তুলে নিয়ে আব্দুল খালিক মিয়ার বাড়ির কাঠাঁল গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়।
এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সরলা বেগম। তারপরেও চলে নির্যাতন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ শামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুমূর্ষ অবস্থায় সরলা বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সরলা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনা খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসাইন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. কবির হোসেনসহ একদল পুলিশ।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।