বানের পানিতে থৈথৈ করছে সিলেট নগরী। হাতে গোনা ২-১টি রাস্তা ছাড়া সবকটি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে সিলেট নগরীর সিংহভাগ আবাসিক এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ বাণিজ্য কেন্দ্র। সিলেটের ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র কালিঘাটে এখন নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যাকবলিত হয়েছেন সিলেট মহানগরীর কয়ে লাখ মানুষ। দ্বিতীয়বারের এই বন্যার কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে হাহাকার।
বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মী ও রাজনীতিক প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন এলাকার ছবি তাঁর নিজ ফেইসবুকে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন নগরীর বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা।
বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নগরীর ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, শামীমাবাদ, ডহর, তালতলা, কালিঘাট, সোবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর, কালিঘাট, জল্লারপাড়, তেররতন, হবিনন্দি, সাদিপুর, বোরহানবাগ, শিবগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমার কদমতলিসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার অনেক বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক পরিবার।
পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্যে প্রাথমিকভা্বে নগরীতে ৩১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বিকালে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিলেট সিটির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র উদ্যোগে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। এছাড়া যেসব উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় সরাসরি আসতে পারেননি তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।