ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বালিয়াডাঙ্গীতে পরিবর্তন হওয়া নির্ধারিত সময়েও অফিসে আসেন না সরকারি কর্মকর্তারা

মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৪ অগাস্ট ২০২২ ০৪:১৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮ টা। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জ্বালানি সাশ্রয়ে গেল ২২ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের  প্রজ্ঞাপনে দেশের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরিবর্তন করে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় দিলেও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের দুটি দপ্তর বাদে অন্য কোন দপ্তরকেই নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি। 

 

বুধবার (২৪ আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন অধিদপ্তর বাদে সব অফিসের দপ্তরেই তালা ঝুলছে। সকাল ৮টা বাজলেও অনেক দপ্তরে বাইরের বৈদ্যুতিক বাল্ব জলতে দেখা গেছে। তবে সকাল ৮টা ০৭ মিনিটে অফিসে এসে তাড়াহুড়ো করে অফিস খুলছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। জানতে চাইলে তিনি জানাম, ‘একটু দেরি করে ফেলেছি। সময়টা বদলে যাওয়ার কারণে প্রথম দিন একটু দেরি হয়েছে। এরপরে ঠিক হয়ে যাবে।

 

অন্যদিকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা প্রাথমিক কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা পল্লি সঞ্চয় ব্যাংক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়সহ অন্য দপ্তরগুলোর তালা খুললেও কোনো কর্মকর্তা দপ্তরে উপস্থিত হননি।

 

এদিকে সকাল ৯ টা ২১ মিনিটে দেখা যায়, বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদিঘী গ্রামের মাহে আলম ও ইউনুস আলীসহ কয়েকজন কৃষক বসে আছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আজকে আমাদের কৃষি অফিস থেকে সার দেওয়ার স্লিপ দেওয়ার কথা ছিল। তাই গতকাল টিভি ও পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। আজকে সকাল ৮ টায় অফিস খুলবে। কিন্তু দেড় ঘন্টা হল অফিস খুললেও এখনো কেউ আসেনি।

 

কৃষক মাহে আলম আরও জানান, মনে করেছিলাম সকাল সকাল স্লিপ নিয়ে এসে সারটা ডিলারের নিকট থেকে কিনে জমিতে দিয়ে ভ্যান নিয়ে বের হবো রোজগার করতে। কিন্তু আজ মনে হয় স্লিপ আর সার কিনতে দিন পার হয়ে যাবে। জমিতে সার দেওয়া আর হবে না। সারা দিন ভ্যান গাড়ি দিয়ে যা আয় করতাম। সেই টাকাটা আর আয় করা হবে না।

 

বাালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, আমি সকালেই চলে এসেছি  সার সংকট নিরসনে জেলায় মিটিংয়ে। অফিস সঠিক সময়েই খোলার কথা। যদি না খুলে তাহলে ফোন করে খবর নিতে হবে।

 

সঠিক সময়ে নিয়ম মেনে সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসে না আসা চরম গাফিলতি আর অবহেলা বলছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

 

বাালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন জানান, সরাকারি কর্মকর্তাদের সরকারের নিয়ম মানা আবশ্যক। যারা যথা সময়ে উপস্থিত হতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।