ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বালিয়াডাঙ্গীতে শাকিল হত্যায় জড়িত দোষীদের ‌দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত

মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:২৭:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ভানোর ইউনিয়ন মৎসজীবী লীগের সভাপতি শাকিল হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে মৎসজীবী লীগের আয়োজনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নবাসী পায়ে হেটে শাকিল হত্যার আসামীদের ফাঁসি চাই সহ বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চৌরাস্তার জমায়েত হয়ে ৩ ঘন্টাব্যাপি ৫শতাধিক মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, শাকিল হত্যার বিচার চাই আশা করছি আইন শৃংখলা বাহিনী দ্রæত আসামীদের গ্রেফতার করবে।

নিহত শাকিলের স্ত্রী কাকলী বলেন, আমার দুই সন্তান প্রতিদিন বাবাকে খুজছে। আমি এর জবাব দিতে পারি না। আমার বাচ্চাকে যারা এতিম করেছে? আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে? আমি তাদের ফাঁসি চাই।

শাকিলের বড় ভাই মামলার বাদী আবু সাহেদ বলেন, মামলার ৭দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মৎসজীবীলীগের সহ-সভাপতি ড.মারুফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা মৎসজীবীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান, ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সিদ্দীকি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী হাট ইমামের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত ৪ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ভানোর ইউনিয়ন মৎসজীবীলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ গুরুত্বর আহত হলে দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে মারা যায়। এ ঘটনায় শাকিলের বড় ভাই আবু সাহেদসহ পাঁচজন আহত হয়। গত ০৪ সেপ্টেম্বর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানায় আবু সাহেদ ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি মারপিটের মামলা করলে। পরবর্তীতে শাকিল হত্যার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়।