ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাসাইলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল: | প্রকাশের সময় : বুধবার ৮ জুন ২০২২ ০৬:৪৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

টাঙ্গাইলের বাসাইলে তিশা আক্তার (৯) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে বাসাইল পৌর এলাকার শহীদ ক্যাডেট একামেডির উদ্যোগে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড ও থানার সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ মানববন্ধনে বাসাইল ডিগ্রী কলেজ, আল হেরা ক্যাডেট মাদরাসা, ব্রাইট স্টার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, লোটাস ক্যাডেট স্কুলসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শহীদ ক্যাডেট একাডেমী’র প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর বিন জাফর, আওয়ামী লীগ নেতা সরকার মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ফারুক, শহীদ ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক আবুল কাশেম মিয়া, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মশিউর রহমান খান বিদ্যুত, স্থানীয় কাউন্সিলর বাবুল আহমেদ, নিহত তিশা আক্তারের মা সম্পা বেগম প্রমুখ।

 

বক্তারা বলেন, ‘দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তিশা আক্তারের হত্যাকারীরা গ্রেফতার হয়েছে। এজন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন আসামীদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। যাতে আর কোনও নরপশু এমন কাজ করতে না পারে। নরপশুরা যেন এই বিচার দেখে থমকে যায়।’  

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে বিকেলে তিশা আক্তারের  মা সম্পা বেগম তার ছেলে শুভকে স্কুল থেকে আনতে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বাড়িতে ফিরে দেখেন তিশা সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে তাকে আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় স্থানান্তর করেন। সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইদিন পর ২৮ মে বিকেলে তিশার মৃত্যু হয়। এরপর গত ৪ জুন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পাওয়া যায়। পরে ওইদিনই তিশার বাবা আবু ভূইয়া বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি স্ব-উদ্যোগে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেয়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের স্বপন মন্ডলের ছেলে গোবিন্দ মন্ডল (১৯), আনন্দ মন্ডলের ছেলে চঞ্চল চন্দ্র মন্ডল (১৭) ও লালিত সরকারের ছেলে বিজয় সরকার (১৬)কে গ্রেফতার করে পিবিআই। আসামীরা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।