ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বিএনপির সাত এমপি সংসদে না থাকলে দেশ ভেঙে পড়বে না, আকাশও ভেঙে পড়বে না-কৃষিমন্ত্রী

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : রবিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৪৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বিএনপির সাতজন এমপি পদত্যাগ করলেও সংসদের কোন ক্ষতি হবে না। সংসদে বিরোধী দল বিএনপি না। সংসদের বিরোধী দল হলো জাতীয় পার্টি। তারা এর আগেও ছিল না তাতে সংসদের কোন ক্ষতি হয়নি। সংসদে বিরোধী দল থাকে ও থাকা দরকার। কিন্তু এখানে তারা না থাকলে কিছুই করার নেই। সুতরাং তারা সংসদের থাকলো কি না থাকলো তাতে কিছু যায় আসে না। এই ৭ জন এমপি না থাকলে এক বছরে দেশের তেমন কোন ক্ষতি হবে না, মানুষের কোন ক্ষতি হবে না। বিএনপির এই ৭ এমপি সংসদে না থাকলে দেশ ভেঙে পড়বে না, আকাশও ভেঙে পড়বে না। এমনিতেই তারা বিভিন্ন উপনির্বাচনে আসে না। 

রোববার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় যোগদনের আগে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ১০ দফায় বিএনপি কি চাইলো না চাইলো সে অনুযায়ি সংসদ চলবে না। তাদের এমন দাবি বহু পুরাতন। তারা ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে। দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ি। সংবিধানের বাহিরে সরকার চাইলেও কিছু করতে পারবে না। তারা ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখানোর হুমকি দিয়েছিল। সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর হুমকি দিয়েছে। একটি নির্বাচিত সরকারকে তারা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশ যেখানে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রগতির পথে উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। যেটি সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে দৃশমান। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির হুমকিতে পদত্যাগ করবে, সরকারের পতন হবে তা খুবই হাস্যকর।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এক বছর পর এদেশে আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট না দেয় তাহলে আমরা জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দেব। বিদেশীদের উষ্কানিতে স্বাধীনতা বিরোধী দেশের রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় বিএনপি মনে করে দেশে অরাজকতা, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাবে। সেটা কোন দিনও হবে না। পূর্বের নির্বাচনের আগেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

 

পরে রোববার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ও টাঙ্গাইল পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। উদ্বোধক ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি প্রমুখ।