জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বেনাপোল পেট্রাপোল নো-ম্যান্সল্যান্ডে দুই বাংলার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মিলন মেলা ও ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে শপথ বাক্য পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় বিজিবি- বিএসএফের মিলন উৎসব ও ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠান।
এ সময় বিজিবির পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর সাদি, খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মামুনুর রশিদ, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সায়েদ মিনহাজ সিদ্দিক। ভারতের বিএসএফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কলিকাতা বিএসএফের ডিআইজি রাজেশ কুমার ও ১৭৯ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের কমান্ডিং অফিসার নিজাম উদ্দিন।
রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পক্ষে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ওমর শাদী বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছিল। যুদ্ধে ভারতের অনেক বিএসএফ, সেনাবাহিনী প্রাণ হারিয়েছিল। বিজয় দিবসের এ দিনে আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার শান্তি কামনা করছি। আগামীতে দুই দেশের মধ্যে এ বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্য সর্ম্পক আরও বাড়বে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের ডিআইজি রাকেশ কুমার বলেন, ১৬ ডিসেম্বর যেমন বাংলাদেশের জন্য গৌরবের তেমনি ভারতের জন্যও। বিজিবি-বিএসএফ এভাবে এক সাথে কাজ করে যাবে। রিট্রেড সিরিমনিতে বিজিবি ও বিএসফের মধ্যে যৌথ প্যারেড বন্ধুত্ব সর্ম্পক্য আরো বৃদ্ধি করেছে। আগামীতে এ সর্ম্পক্য আরো বাড়বে।
ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডে জমকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’র মাধ্যমে আবারো বাজল ভ্রাতৃত্বের জয়গান। এ সময় বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের অংশগ্রহণে জমকালো সামরিক কলা কৌশলের দৃষ্টিনন্দন যৌথ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। দু‘দেশের আমন্ত্রিত অতিথিসহ জনসাধারণ সীমান্তের শুন্যরেখায় আসতে থাকেন। তারা একে অন্যের সাথে কথা বলেছেন প্রাণ খুলে। উপভোগ করেছেন যৌথ প্যারেড। দেখেছেন দু‘দেশের জাতীয় পতাকা একসাথে নামানোর দৃশ্য। সবার উপস্থিতি মিলন মেলায় রুপ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে বিএসএফ কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেয় বিজিবি।