বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিভক্তির রাজনীতি যেন আমরা না করি। এখন সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন। দেশকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য, সেটি হলো ‘ঐক্য’।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার অবশ্যই লাগবে, সংস্কারের পেছনে যে শক্তিটা লাগবে সেটা হচ্ছে একটা নির্বাচিত পার্লামেন্ট, নির্বাচিত সরকার। এটা ছাড়া সংস্কারকে লেজিটিমেসি (বৈধতা) দিতে পারব না আমরা। তাই আমরা সেসব বিতর্কে জড়াতে চাই না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার তো আমরাই প্রথম শুরু করেছি, জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি নিয়ে এসেছেন। জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাই বড় সংস্কার। আমাদের বড় বড় বুদ্ধিজীবীরা এটাকে সামনে আনবে না। কারণ তারা এখন মাটির মানুষের কাছাকাছি যেতে পারেননি।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা একেবারেই কোনোরকম পারিশ্রমিক ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সে দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই ব্রিটিশ সরকারকে তারা সেখানে যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবসহ যারা ওখানে রয়েছেন তারা ইতোমধ্যে চিকিৎসাব্যবস্থা শুরু করেছেন। গতকাল ম্যাডাম মুক্ত অবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেছেন, এর থেকে আর এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী আছে।
খালেদা জিয়ার জবানবন্দির ওপর রচিত বই একটা ইতিহাস উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার জবানবন্দি একটা ইতিহাস, এটাই একটা দিকনির্দেশনা। এটাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতি। ওনার (খালেদা জিয়া) কোর্টে দেওয়া জবানবন্দি বারবার পড়া উচিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংবাদিক শফিক রেহমান, সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহসহ আরও অনেকে।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে