ঢাকা, শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬শে পৌষ ১৪৩১

বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে সারাদেশে রেস্তোরা বন্ধের হুমকি মালিকদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:১১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ভ্যাট হার আগের মতো ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা না হলে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার  হুমকি দিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিত।  

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন রেস্তোরা মালিক সমিতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন। এছাড়া সমিতির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে আগের মতো ৫ শতাংশ করা না হলে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা প্রথমে মানববন্ধন করবেন মালিক সমিতি। তাতে কাজ না হলে সারা দেশে এক দিনের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হবে। এরপরও কাজ না হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রেস্তোরাঁ ব্যবসার ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, এছাড়া সম্পূরক শুল্ক (এসডি) নামে আরও একটি ১০ শতাংশ কর আগে থেকেই আছে। অর্থাৎ ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১০ শতাংশ যোগ করা হলে ভোক্তাদের মোট ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। গুলশান ও বনানীর মানুষেরা এই ভ্যাট দিতে পারেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা দেওয়া সম্ভব নয়, বিষয়টি অবাস্তব। পৃথিবীর কোথাও খাবারে এত ভ্যাট নেই।

মালিক সমিতি মনে করছে, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোনোভাবেই ২৫ শতাংশ কর আদায় করা সম্ভব নয়। চাইলেই খাবারের দাম বাড়ানো যায় না। অথচ গত সরকারের আমলে পরিষেবার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে; সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জের তো আছেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই রেস্তোরাঁ ব্যবসা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এ অবস্থায় ভ্যাট বাড়লে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

ইমরান হাসানের অভিযোগ, আগের সরকারের মতো এই সরকারও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। 

লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইমরান হাসান সরকারের নীতির সমালোচনা করেন। 

তিনি বলেন, আইএমএফের পরামর্শে পৃথিবীর কোথাও দারিদ্র্য বিমোচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে এনজিও সরকার হিসেবে আখ্যা দেন ইমরান হাসান। তাঁর অভিযোগ, এই সরকার দারিদ্র্য পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে চায়। তাতে এনজিও ব্যবসা বাড়বে।

দেশের সব রেস্তোরাঁ ভ্যাটের আওতায় আনতে এনবিআরকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতি দেন রেস্তোরাঁর মালিকেরা। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার, যদিও নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছে সাড়ে তিন লাখ। ভ্যাটের হার না বাড়িয়ে সবাইকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে