ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৫০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
শারদীয় দুর্গোৎসবের অন্যতম উপচার কুমারী পূজা।মহাষ্টমীর দিনে এই কুমারী পূজা উপলক্ষে ষোড়শ উপাচারে পূজিত হন দেবী দুর্গা। হিন্দু শাস্ত্রমতে, 'কালাসুর' নামের এক অসুর স্বর্গ এবং মর্ত্য অধিকার করে নিয়েছিলো। এই কালাসুরের কবল থেকে পরিত্রাণ লাভের আশায় দেবতারা 'মহাকালী'র কাছে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেন। তখন 'মহাকালী' শিশুকন্যা রূপে জন্ম নিয়ে কুমারীরূপ ধারণ করে কালাসুরকে বধ করেন। সেই থেকেই দুর্গা পূজার অষ্টমী তিথিতে হয়ে আসছে কুমারী পূজা। 
 
 
সোমবার (০৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয় অষ্টমী বিহিত পূজা। অষ্টমী তিথিতে জেলা শহরের কালাইশ্রীপাড়ার শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ আখড়া মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা। বিশেষ এই পূজাকে ঘিরে সকাল থেকেই পূন্যার্থীদের ভিড়ে মুখরিত ছিলো মন্দির প্রাঙ্গন। এসময় এক কিশোরীকে দেবীর আসনে বসিয়ে দেবী দুর্গার ন’টি রূপের কথা মাথায় রেখে ঢাক, কাসরের তালে শঙ্খ আর উলুধ্বনির মাধ্যমে ধর্মীয় রীত অনুযায়ী পূজার্চনা করা হয়। 
 
 
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, 'কালাসুর' নামের এক অসুর স্বর্গ এবং মর্ত্য অধিকার করে নিয়েছিলো। এই কালাসুরের কবল থেকে পরিত্রাণ লাভের আশাতেই দেবতারা 'মহাকালী'র কাছে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা জানায়। তখন 'মহাকালী' দেবতাদের প্রার্থনায় তুষ্ট হয়ে শিশুকন্যা রূপে ধরায় জন্ম নিয়ে কুমারী রূপ ধারণ করে 'কালাসুর' নামীয় অসুরকে বধ করে স্বর্গ এবং মর্ত্যকে রক্ষা করেন। এর পর থেকেই দুর্গা পূজার অষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা হয়ে আসছে। এদিকে জেলার প্রতিটি মন্দিরে উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।