ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলঘর ধ্বসে চার শিক্ষার্থী আহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৩০:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিত্যাক্ত স্কুলঘর ধ্বসে আহত হলেন চার শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় 'শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়'এ ঘটে এই ঘটনা। আহত শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার, হাবিবা আক্তার, মারিয়া আক্তার একং নাজমুল ইসলামকে আড়াইশ' শয্যাবিশিষ্ট  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 
 
 
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় সরকারিভাবে পরিচালিত 'শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়'টির কার্যক্রম একটি টিনশেড ঘরে পরিচালিত হতো। দীর্ঘদিন আগে স্কুলটির কার্যক্রম পাশে থাকা আধাপাকা ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর থেকে টিন শেডের স্কুলঘরটি জরাজীর্ণ আর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছুটি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা পুরাতন স্কুল ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই টিনের ঘরটি ভেঙে পড়ে।এতে সামিয়া আক্তার (৭), হাবিবা আক্তার(৭), মারিয়া আক্তার(৮) ও নাজমুল ইসলাম (১২) নামের চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতেদর উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের পাঠায়। আহতদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, পরিত্যক্ত এই ঘরটি ঝূকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি বারংবার সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 
 
 
স্কুলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা নাসির খান বলেন, 'স্কুলটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকতাম। ঝুঁকিপূর্ণ এই স্কুলের বিষয়ে জানিয়ে জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। অবশেষে আজকে এই ঘটনাটি ঘটলো।' সাইফুল ইসলাম নামে প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'আমি আমার মেয়েকে স্থানীয় একটি স্কুল থেকে নিয়ে আসতে যাচ্ছিলাম। এসময় বিকট শব্দ পেয়ে দেখি স্কুল ঘরটি ভেঙে পড়েছে। আমি দৌঁড়ে কাছে গিয়ে দেখি তিনটি শিশু পুকুরের পানিতে পড়ে গেছে, একজন ভেতরে। পরে অন্যান্যদের নিয়ে আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করি।' শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলাম বলেন, 'শব্দ পেয়ে শিক্ষকরা এসে দেখেন পরিত্যক্ত ঘরটি পড়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।'
 
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস সামাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।' সদর মডেল থানাধীন ১নং শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টির সার্বিক তদন্ত চলছে।