ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজশাহী নগরবাসী

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:২৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
ধীরে ধীরে শীত আসতে শুরু করেছে। করোনার দাপটও কমে গেছে। কিন্তু নগরীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝোঁপ-ঝাড়, আবর্জনার স্তূপ ও জলাধারে জন্ম নিচ্ছে মশা।। ছোট ছোট জলাধারগুলো এখন মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। নগরীর অনেক ড্রেনের ময়লা পানি ঠিক মত নিষ্কাশন না হওয়ায় সেখানেও ঝাঁকে ঝাঁকে জন্ম নিচ্ছে মশা। এসব মশার আক্রমণের শিকার হচ্ছে মানুষ। রাত কিংবা দিন কোন কিছুই মানছে না মশা। সুযোগ পেলেই কামড় দিচ্ছে। শুয়ে থাকলে কানের কাছে মশার শুনশুনানিতে ঘুম আসে না খেতে, বসতে, শুতে, নামাজ পড়তে, এমন কি বাথরুমে যেয়েও রক্ষা নেই। বিছানায় মশারি থাকলেও তার ফাঁক ফোকর গলিয়ে ঢুকে কামড় দিচ্ছে মশা। নগরীর কোন এলাকায় মশক নিধন কর্মীদের লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মশক নিধন অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য প্রাণী ও মশার কামড়ে অস্থির। এদিকে মশার কামড়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুত্বর ও চিকুনগুনিয়া রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। যেভাবে মশার উপদ্রব বেড়েছে তাতে রাজশাহীতেও যে কোন সময় দেখা দিতে পারে ডেঙ্গুজ্বরসহ চিকুনগুনিয়ার মত মারাত্মক রোগ।
 
 এমনিতেই করোনার ধকল শেষ হয়নি এখনও। মানুষের করোনা আতঙ্ক রয়েছে। একটু অসুখ দেখা দিলে মানুষ মারা বিপদ মনে করে। তাই এখন থেকেই মশার উপনৰ সম্পর্কে সাবধান হতে হবে। নগরীর ঝোঁপ-অঙ্গনসহ অনেক স্থানে এখনও পানি জমে আছে। মূল শহরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চললেও শহরের সর্বज পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সেভাবে লক্ষ করা যায় না। ফলে বিভিন্ন এলাকায় -খাটো গর্তে পানিসহ ছোট আবর্জনার স্তূপ জমে থাকছে। এসব গর্ভে জমে থাকা পানি আবর্জনায় জন্ম নিচ্ছে মশা। নগরজুড়ে চলছে বিভিন্ন নির্মাণ কার্যক্রম। তেরখাদিয়ার মধ্যপাড়া, কয়েরদাড়া, ডিঙাডোবা, দাশপুকুর- সহ নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে রাস্তা ড্রেন ভাঙচুর হচ্ছে। অসম্পূর্ণ কাজ মাসের পর মাস পড়ে থাকছে। এসব স্থানের জমে থাকা ময়লা আবর্জনাতে অবাধে মশার বংশবিস্তার চলছে।
 
মশার হাত থেকে বাঁচতে কয়েল বাবদ খরচ করতে হচ্ছে শত শত টাকা। এতেও মশার হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না মানুষ। আগে ড্রেনগুলোতে মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য যে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হয়, তাতে কাজ হয় বলে মনে হয় না। তাই প্রতি বছর নগরীতে যে মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হয়। অবিলম্বে সে কার্যক্রম শুরু করার দাবি নগরবাসীর।
 
এ সম্পর্কে রাসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলার বলেন, শীতে মশার উপদ্রব কম থাকে। তাই আপাতত নগরীর মশা নিধনের কোন পরিকল্পনা না থাকলেও মেয়রের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মশার বিস্তার রোধে যথাযথ কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।