ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

মাগুরায় বিজয় দিবসে ছাত্রঅধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

মাগুরা প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
 
 
 
মাগুরায় বিজয় দিবসে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের তিন নেতা। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে আটটার দিকে শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ বেদির সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। ‘সরকারবিরোধী স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুব অধিকার পরিষদের নেতারা।
 
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন—জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এজাজ আহম্মেদ, সদর উপজেলার সভাপতি আরিফ বিল্লাহ ও সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রাজীব মোল্লা। তাঁদের মধ্যে এজাজ আহম্মেদকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর থানার পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন একজন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ২০ জনের মতো নেতা-কর্মী নিয়ে তাঁরা নোমানী ময়দানে শহীদ বেদিতে ফুল দিতে যান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাই ছবি তুলছিলেন আর দলীয় স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা তথ্য পান যে হামলা হতে পারে। তখন দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু শহীদ বেদি থেকে ৩০ মিটার দূরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউস মধুমতীর সামনে রাস্তার ওপর ওই তিন নেতাকে ধরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করেন। পরে সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হন আহত তিনজন।
 
ইমদাদুল হক বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন মিলে হামলা চালান। কাঠের চ্যালা দিয়ে বেদম পেটায়। তাঁদের (ছাত্রলীগ) অভিযোগ আমরা নাকি সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়েছি। কিন্তু আমরা কোন স্লোগানই মূলত দেয়নি এবং সরকার বিরোধী কোনো কথা হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘এটা একটা মিথ্যা অভিযোগ। আমি সেখান থেকে বেশ দূরে ছিলাম। কি হয়েছে সেটাও ঠিকমতো জানি না। পরে শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। এটা নিয়ে কিছু ছোট ভাইদের সঙ্গে বিতণ্ডা হয়েছে।’
জানতে চাইলে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা (ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা) নাকি প্রধানমন্ত্রী ও এমপি (সাইফুজ্জামান শিখর) সাহেবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় কিল–ঘুষি দিয়ে একজনকে ডিবির হাতে তুলে দেয়। সে এখন পুলিশ হেফাজতে। স্যারদের (জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা) সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’