হবিগঞ্জের মাধবপুরে ধর্মঘর ইউনিয়নে রসুলপুর গ্রামে রুসন আলীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের শীর্ষ ডাকাত সজল মিয়া (৩০) সহ ৩ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ ডাকাতকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোররাতে মধ্য বেজুড়া থেকে সজলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরআগে রোববার ভোর রাতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ভাদুঘর গ্রামের তকদির (৩৫) এবং একই গ্রামের হেলাল মিয়া (৪০)-কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের চিহ্নিত ডাকাত দলকে পুলিশ গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় হবিগঞ্জ জেল হাজতে পাঠায়। এসব অঞ্চলের ডাকাতরা হবিগঞ্জ কারাগারে একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করে জামিনে বের হয়ে তারা বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতির সংঘটিত করবে। পরিকল্পনা মতে ডাকাতদল জামিনে মুক্ত হয়ে কিছুদিন আগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর ও একই জেলার নাসিরনগর উপজেলা এবং মাধবপুর উপজেলার রসুলপুরে ডাকাতি সংঘটিত করে। গ্রেফতার ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। একযোগে হঠাৎ করে ৩ জেলায় ডাকাতি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান- রসুলপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার, দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার এবং ডাকাতির ক্লো উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতার ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।