ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে মায়ের কবরের পাশে বাঁশবাগানে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় লুৎফর(৫৫) নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়ার কবরস্থান থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত লুৎফর রহমান একই গ্রামের মৃত কাদের সাহ এর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী সাহিদা বানু জানান, বিগত তিনমাস যাবৎ তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলো।প্রায় রাতেই তিনি কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতেন আবার একাই ফিরে আসতেন।গতরাতে মাগরিবের আজানের পর বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।রাতে খোজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে আজ ভোরে আমার ছোট ছেলে আমার শ্বাশুড়ির করবের পাশে তাকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়।আমি গিয়ে দেখি আমার শ্বাশুড়ির কবরের পাশে বাঁশের সাথে গলাই রশি দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলে আছে। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মরদেহটি বাড়ি নিয়ে আসি এবং থানায় খবর দেয়।
এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে জানান,নিহত লুৎফর রহমানের উপরে প্রায়ই তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করত। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী।
এদিকে পারিবারিক কলহের জেরে আজ ভোরে উপজেলার গাজীপুর গ্রামের বকুল কাজীর ছেলে রাজু আহমেদ(১৫)নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পরিবারের লোক।
প্রাথমিকভাবে দুইটা ঘটনায় আত্মহত্যা হত্যা বলে মনে হচ্ছে।তবে ময়নাতদন্তের পরেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান,হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ আবু আজিফ।