যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনতে অপেক্ষায় আছেন লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বক্তব্য দেবেন তিনি। এর আগে একই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে পৌঁছেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শামস উল হুদা স্টেডিয়ামের সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকেই যশোর জেলার আট উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম জনসভা। তার আগমন ঘিরে গোটা যশোর জেলা এখন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের স্মরণকালে এটিই সবচেয়ে বৃহত্তম জনসমাবেশ হতে চলছে। তবে মূলত সরকারের উন্নয়নের খবর তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াসহ আগামীর উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরবেন সরকারপ্রধান। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে জনসভার সব ধরনের প্রস্তুতিও।
এ ছাড়া নাগরিক সমাজ ইতোমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান, যশোর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণ ও সিটি করপোরেশনের দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের সেরা জনসভা। এই জনসভা শুধু স্টেডিয়ামেই হবে না, গোটা যশোর শহরই জনসভাস্থলে পরিণত হবে। এজন্য টাউনহল মাঠসহ বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। ওই স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি দেখানো হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এবং মঞ্চ সাজসজ্জা উপপরিষদের সদস্য সচিব আবদুল মজিদ জানান, শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে নৌকার আদলে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নৌকার পরিমাপ ১২০ ফুট বাই ৪০ ফুট। তবে স্টেজ করা হবে ৮০ ফুট বাই ৪০ ফুট। মঞ্চে ৭৬ ফুট বাই ১০ ফুট ব্যানার দেওয়া হবে। ব্যানারের কাজ সম্পন্ন করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।