ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা

মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১১:৩৪:০০ পূর্বাহ্ন | এক্সক্লুসিভ
 
 
 
রাজধানীতে দিন দিন বেপরোয়া হচ্ছে ছিনতাইকারীরা। পুলিশের কোনো পদক্ষেপেই রোধ করা যাচ্ছে না ছিনতাই। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে একের পর সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন। রাত হলেই ঢাকার বিভিন্ন সড়ক হয়ে যায় অরক্ষিত। জনসাধারণকে চলতে হয় আতংকের মধ্যে। 
 
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবরে রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন খুন হন। পুলিশ তদন্তে জানা যায় তিনি ছিনতাইকারীর হাতে খুন হয়েছেন। 
এছাড়াও ১৯ অক্টোবর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন সাইমন নামের এক পোশাককর্মী। 
৫ অক্টোবর কারওয়ান বাজার প্রিন্স হোটেলের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন কেশব চন্দ্র রায়। 
১৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কমলাপুর মাজার রোড এলাকায় রাস্তায় ছুরিকাঘাতে অজ্ঞাতপরিচয় যুবক খুন হন। 
১১ আগস্ট রাতে উত্তরায় একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সময় বুথের ভেতরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন ব্যবসায়ী শরিফ উল্লাহ। 
২৯ জুলাই পল্লবীতে আরমান নামের এক রিকশাচালককে গলা কেটে হত্যার পর তাঁর রিকশাটি ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। 
৬ জুলাই কামরাঙ্গীর চরে ছিনতাইকারীরা হত্যা করে সাঈদ নামের এক যুবককে।
২৭ মার্চ ভোরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল প্রাণ হারান। 
২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুর বাউনিয়া বাঁধ ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রায়হান নামের এক পোশাককর্মী নিহত হন। 
২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে সায়েদাবাদ ফ্লাইওভারের ঢালে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। 
সব মিলে গত আট মাসে ছিনতাইকারীরা ১৮ জনকে হত্যা করেছে। এনিয়ে রাজধানীতে গত আট মাসে ১১৬ জন খুন হয়েছে।
 
ডিএমপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া যায়। তবে বাস্তবে ছিনতাইয়ের ঘটনা আরো বেশি বলে জানা যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রতিকার মেলে কম। বেশিরভাগ ভুক্তভোগী থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করে না।
 
রাজধানীর ৫০টি থানার বেশির ভাগ এলাকায়ই রাত ১০টার পর পুলিশ থাকে না। টহল পুলিশের গাড়িও চোখে পড়ে কম। রাতে সড়কগুলো কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়ে।
 
র‍্যাবের তথ্য মতে, ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত কয়েক মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১হাজার ৬৭৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
 
ডিএমপি'র তথ্য অনুযায়ী, বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে উত্তরা, মিরপুর, ধানমণ্ডি, তেজগাঁও ও মতিঝিল এলাকায়।
গত আট মাসে ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, দাঙ্গা, নারী নির্যাতন, অপহরণ, চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য কারণে ডিএমপির ৫০ থানায় মামলা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৪৫টি। 
 
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, ছিনতাই বন্ধে ডিএমপি'র 

 

প্রতিটি মাসিক সভায় পুলিশের বিশেষ প্যাট্রোলিং বৃদ্ধি, ২৪ ঘণ্টা সাইবার মনিটরিংসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রতিনিয়তই কাজ করছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।