ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক "অঘোষিত সিভিল সার্জন "

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, রায়পুর: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৭ জানুয়ারী ২০২২ ০১:১১:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর
 
ডাঃ মোবারক হোসেন রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতালে এক আতঙ্কের নাম! নানা অনিয়ম আর অভিযোগের তোয়াক্কা না করেই টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্ততার সুযোগে  বহিরাগত ডাক্তার এনে সিজারসহ রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে সেবাদান। 
 
তারই অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সেখানে যায় সংবাদ সংগ্রহ করতে। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের!
 
আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে একজন প্রসূতির সাথে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনেসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার মোবারক হোসেন কারো অনুমতি না নিয়েই নিজের স্ত্রী (বহিরাগত ডাক্তার) ও বহিরাগত কামাল (সহযোগী) নামে দু-তিনজনকে নিয়ে গর্ভবতী রোগীদের সিজার কার্যক্রম চালিয়েছেন।
 
 বিষয়টি নিয়ে সেই ডাক্তারের নিকট বেসরকারি টিভি এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম টিটু জানতে চাইলে তিনি সহ উপস্থিত সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী বলে হুমকি প্রদানসহ ক্যামেরা কেঁড়ে নেয়ার চেষ্টা করে ওটির সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়। 
 
এই বিষয়ে জহিরুল ইসলাম টিটু সহকর্মীদের জানান যে, মাত্র কয়দিন হয়েছে এখানে তিনি যোগ দিয়েছেন, যোগ দেয়ার পর থেকে তিনি অঘোষিত সিভিল সার্জনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তার ভয়ে তটস্থ থাকেন বেসরকারি হাসপাতাল এর মেডিকেল চিকিৎসক ও হাসপাতালের মালিকরা। এই চিকিৎসক মোবারক এনেসথিয়া তাকে দিয়ে না দিলে হাসপাতাল বন্ধেরও হুমকি দিয়ে থাকেন। স্বয়ং সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার আচারণে ত্যাক্ত বিরক্ত। 
 
বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক শামসুল আলম বাবুল ও তুহিন চৌধুরী বলেন, ডাঃমোবারক যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালের ওটিতে তাকে রাখতে বাধ্য করেন। অনেক চিকিৎসক আমাদেরকে ফোন করে শাসানোর বিষয়েও অবহিত করেন। হাসপাতালে এত চিকিৎসক আছেন তাদের কারো ব্যাপারে অভিযোগ এত বছরে না থাকলেও তিনি যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। 
 
বিষয়টি নিয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বাহারুল আলম বলেন, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।ভবিষ্যতে চিকিৎসক ও সাংবাদিক এর এমন ঘটনার পূনরবৃত্তি হবে না বলে আশ্বাস দেন। 
 
উল্লেখ থাকে যে, এই ডাক্তার মোবারক রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকেই রোগী ও স্বজনদের কারনে অকারণে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।