আগামীকাল রবিবার ২৮ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে সবকিছু ছাপিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতিটি ইউনিয়নের হাট বাজার রাস্তাঘাট পোস্টারে ছেয়ে গেছে। শনিবার সকাল থেকেই নির্বাচনের কেন্দ্রে উপকরণ ও মালামাল প্রেরণ করছে নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে জোরালো পদক্ষেপ। ফলে ভোটাররা শান্তিপুর্ণভাবে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে সদরের ১১১টি ভোট কেন্দ্রের ৬৫২টি ভোটকক্ষে ২৪ লাখ ৯ হাজার ৫শত ৯৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।ভোট গ্রহণের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সদরের ১১টি ইউনিয়নেই নৌকার জয় হবে এমন আশা দলীয় নেতা কর্মীদের। দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মনোনিত প্রার্থীরা সবকটি ইউনিয়নেই অংশগ্রহণ করছেন। অবস্থার সুযোগে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র এবং লাঙ্গলের প্রার্থীরাও। এমন চিত্র তৃণমূলের।
সদরের ১১টি ইউনিয়নে নৌকার পাশাপাশি জাতীয় পার্টির ৫ জন, ইসলামী আন্দোলনের ৮জন এবং স্বতন্ত্র ৩১ জনসহ সর্বমোট ৫৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী অংশ নিয়েছে এবারের নির্বাচনে।
১ নং রশিদাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী লড়ছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় শাহ মুহাম্মদ মাসুদ রানা (নৌকা), স্বতন্ত্র জহিরুল ইসলাম (আনারস), মো. ইদ্রিস মিয়া ( অটো রিকশা), ওমর ফারুক লিটন (চশমা ) মো. মোশাররফ হোসেন শিহাব (মোটর সাইকেল ) ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী হাদিস মিয়া (হাত পাখা ) ।
২নং লতিবাদ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী শরীফ আহমেদ খান (নৌকা ), জাতীয় পার্টির মো. জামাল উদ্দিন (লাঙল),স্বতন্ত্র- সাবেক চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম (অটো রিকশা ), মো. সুজন মিয়া (আনারস ) ।
৩নং মাইজ খাপন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ (নৌকা ) , স্বতন্ত্র সাবেক চেয়ারম্যান মো. মফিজ উদ্দিন (মোটর সাইকেল) , ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী মো. শফিকুল খা (হাত পাখা ) ।
৪নং মহিনন্দ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুর রহমান নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। তার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় এ দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে কর্মী সমর্থকরা জানিয়েছেন।
৫নং যশোদল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মো. শফিকুল হক (নৌকা ), স্বতন্ত্র- বর্তমান চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন (চশমা ), মোহাম্মদ শাফি উদ্দিন (অটো রিকশা ), মো. এখলাছ মিয়া (মোটর সাইকেল ), মো. ফজলুল হক ছাদির (আনারস ), জাতীয় পার্টির মনোনীত সাবেক চেয়ারম্যন মো. শামসুল হুদা (লাঙল ), ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মো. আ. কাদির (হাত পাখা)।
৬ নং বৌলাই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন (নৌকা ), স্বতন্ত্র মজিবুর রহমান (চশমা ), আ. জব্বার (অটো রিকশা ), মো. মো. মাহতাব উদ্দিন (মোটর সাইকেল ), মো. মোশাররফ হোসেন বাবুল (আনারস ), মো. সিরাজুল হক (ঘোড়া ), মো. রুহুল আমিন জয় (টেলিফোন ), মো. হারিছ (রজনীগন্ধা), জাতীয় পার্টির মনোনীত মো. জসিম উদ্দিন (লাঙল), ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী মো. হাদিউল ইসলাম (হাত পাখা )।
৭ নং বিন্নাটী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মো. মো. আজহারুল ইসলাম (নৌকা ), স্বতন্ত্র ইমরান হোসেন (মোটর সাইকেল ), মো. শফিকুল ইসলাম (আনারস ), মো. শাহাদাৎ হোসেন মিল্টন (চশমা ), ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (হাত পাখা )।
৮ নং মারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান হলুদ (নৌকা ), স্বতন্ত্র সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ (আনারস ), জাতীয় পার্টির মো. মুনতাজ (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মো সাদেকুল ইসলাম (হাত পাখা )।
৯নং চৌদ্দশত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী লড়ছেন। এরা হলেন আওয়ামীলীগ দলীয় এবি সিদ্দিক খোকা (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফারুক আহমেদ বাচ্চু (আনারস), বিদ্রোহী প্রার্থী আতাহার আলী ( চশমা), ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী আ. করিম হাতপাখা ।
১০নং কর্শাকরিয়াইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী লড়ছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় মো. বদর উদ্দিন (নৌকা), স্বতন্ত্র মো. কাঞ্চন মিয়া (মোটর সাইকেল), মো. কামাল উদ্দিন ( আনারস ), সুলায়মান ( ঘোড়া)।
১১নং দানাপাটুলি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী লড়ছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় মো. সাখাওয়াত হোসেন দুলাল (নৌকা), স্বতন্ত্র মো. বকুল মিয়া (মোটর সাইকেল), মো. খায়রুল আলম মলু ( আনারস ), মো. মাসুদ মিয়া ( অটো রিকশা), এবিএম জালাল উদ্দিন ( চশমা)।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে জোরালো প্রস্তুতি। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন থাকবে।