নিজস্ব প্রতিবেদক:
.
আজ শের ৮৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ৬৩টি জেলার ১১৫টি উপজেলার এসব ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এইসব ইউপিতে ভোট চলবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে বলে আশা প্রকাশ করলেও ভোটের মাঠ বলছে নানা শঙ্কার কথা। নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কায় ১৪টি জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনে তিন হাজার ৩১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ৪১ হাজার ২১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট হবে ৮৩৫টিতে। আইনি জটিলতাসহ নানা কারণে সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। জাল সইয়ের কারণে কয়েকজনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘটনায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য— সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হবে না। এ কারণে ৮৩৫টি ইউপিতে বৃহস্পতিবার ভোট হবে। সূত্র আরও জানিয়েছে, এ ধাপে ৮১ জন চেয়ারম্যান, ৭৩ জন সংরক্ষিত সদস্য এবং ২০৩ জন সাধারণ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বুধবার (১০ নভেম্বর) কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিযোগিতা আছে বলেই অনেক (সহিংস) ঘটনা ঘটছে। কোনও কোনও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭৯ থেকে ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতে বুঝা যাচ্ছে, মানুষের আগ্রহ আছে।’ দ্বিতীয় ধাপের ভোটে সহিংসতার শঙ্কা আছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, নেই।’
জানা গেছে, প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সহিংসতার সংখ্যা, মাত্রা ও তীব্রতা সবই বেশি। ভোট উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে নির্বাচনি এলাকাগুলোতে ২৫ হাজারের বেশি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন। নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এত সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের মধ্যেও বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ২২৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৮৪ লাখ ৫ হাজার ৮৩১জন ও নারী ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৯ জন। এছাড়া ১৬ হিজরা এ নির্বাচনের ভোটার।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এ ধাপে তিন হাজার ৩১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ৪১ হাজার ২১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ হাজার ১৬১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮ হাজার ৭৪৭ জন রয়েছেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৯২টি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের ২২ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।