‘কৃষিই শক্তি, কৃষিই সমৃদ্ধি’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি জামালপুর সদর উপজেলার সীমান্ত রেখায় অবস্থিত টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলাধীন বিএডিসি নিয়ন্ত্রিত বলদীআটা মালতি হিমাগারের অধীন কৃষক পর্যায়ে বীজ আলু রোপণ শুরু হয়েছে। এ হিমাগারের প্রধান কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৪ টি ব্লকের ৯৪ জন চুক্তিবদ্ধ কৃষক ২ শত ৭৮ একর জমিতে বীজ আলু রোপণ করছেন। বীজ আলুর জাতগুলো হলো- বিএডিসি আলু-১ (সানশাইন), ডায়মন্ট ও এস্টারিস্ক। ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ বীজ আলু রোপণ সম্ভব হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে রোপণ কাজ শেষ হবে। রোপণ কাজের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। উল্লেখ্য এ হিমাগারের উৎপাদিত বীজ আলুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। তাই পৃথক ২৫ একর জমিতে রপ্তানিযোগ্য বীজ আলু রোপণ করা হচ্ছে। গত অর্থ বছরে এ হিমাগারের উৎপাদিত ৯০ মেট্রিক টন আলু মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে জীব-বৈচিত্র্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় স্ট্রবেরী চাষ শুরু হয়েছে। ৫ বছর আগে এলাকার তাপস নামের এক ব্লক লিডার প্রথম স্ট্রবেরীর চাষ শুরু করেন। দেখাদেখি স্থানীয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সংগঠক, সমাজ সেবক, শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষ ৩ বছর ধরে ১০ শতাংশ জমিতে স্ট্রবেরীর চাষ করে আসছেন। পাশাপাশি এ হিমাগারের আওতায় কৃষক পর্যায়ে জি-৯, সাগর ও চাম্পা কলার চাষও চলমান রয়েছে। কৃষক সাখাওয়াত হোসেন, নুরুল ইসলাম ও মানিক মিয়া কলার আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। এছাড়া কৃষক শাকিল মিয়া হানিকুইন ও নুরুল ইসলাম এমডি-২ জাতের আনারস প্রত্যেকে ১০ শতাংশ জমিতে আবাদ করেছেন। এ হিমাগারের উৎপাদিত বীজ আলুর চাহিদা থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ডিলাররা অর্ডার দিয়ে নেন। আর উৎপাদনের মাত্রা বেশি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন হিমাগারে পাঠানো হয়।
(লেখক: সাংবাদিক ও ডিরেক্টর, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব, ঢাকা এবং সাবেক শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তা।)