ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

রায়পুরে প্র‌তি‌বন্ধী রিফা‌তকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আর্থিক সহযোগিতা ও ক‌র্মসংস্থানের ব্যবস্থা প্রশাসনের

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, করেসপন্ডেন্ট | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৪৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,  মোঃ আনোয়ার হোছাইন' র নির্দেশনা মোতাবেক রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের  প্রতিবন্ধী কিশোর রিফাত হোসেন এর বাড়িতে পরিদর্শনে যান রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ। এই সময়ে তিনি জেলা প্রশাসক লক্ষ্মীপুর সরকারি তহবিল থেকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী রিফাত হোসেন ও তার পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য একটা দোকান ভাড়া করে মালামাল তোলার ব্যবস্থা করেন এবং আরও ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন, রায়পুর এর পক্ষ থেকে তাদের ১০ কেজি চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্য সহায়তা ও  দুই বান্ডিল টিন দিয়ে তাদের ঘর মেরামতের ব্যবস্থা করেন।
 
গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে ' ভিক্ষা করছেন স্কুল শিক্ষকের সন্তান' শিরোনামে একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ'র। তিনি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ এর সাথে যোগাযোগ করে সেই নির্দেশনা মোতাবেক সহযোগিতার ব্যবস্থা করেন। 
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ সহযোগিতা কার্যক্রম শেষে তিনি আশ্বস্ত করেন রিফাতের পরিবারকে,  সমাজের অসচ্ছল মানুষের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের সহযোগিতায়  উপজেলা প্রশাসন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন। রিফাত এর পরিবার এর পাশেও সহযোগিতা তারই ধারাবাহিকতার অংশ। 
 
উল্লেখ্য যে,  ২০১৬ সালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কেরোয়া ইউপির মোল্লারহাট গ্রামে পীর ফজলুল্মাহ ইসলামি মিশন দাখিল মাদ্রাসা জুনিয়র শিক্ষক ছিলেন। সাত বছর আগে আনোয়ার উল্লাহ মৌলভীর বাড়িতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হন তিনি। তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। শিক্ষকের বড় ছেলে রিফাত হোসেন বাক ও শারীরিকপ্রতিবন্ধী। সে ৯০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে।নিহত শিক্ষকের স্ত্রী কোহিনুর জানান, ২০১৬ সালে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার শিক্ষক স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন প্রতিবেশী। থানায় মামলা হলে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে বর্তমানে বীরদর্পে চলাফেরা করছে। অর্থ সংকটের কারণে মামলাও চালাতে পারছেন না তিনি।