সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা এলাকায় আন্তঃজেলার গরু চোর চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল। অভিযান কালে ওই চক্রের এক সদস্যকে আটক করেন এবং তার কাছ থেকে পাঁচটি চোরাই গরু উদ্ধার করেন। অপরজন পালিয়ে যায়। আটক চোরচক্রের সদস্য অভিযুক্ত শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার মৌগাঁও বাগেরকোনা গ্রামের রফু মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আলী(৪০) ও পালিয়ে যাওয়া অপর চোরচক্রের সদস্য অভিযুক্ত একই থানার বুড়ুমপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাহীনুর পাশ(২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত কলেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার(১৬ এপ্রিল) দুপুরে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকায় আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য অভিযুক্ত শাহীনুর পাশা ও মোশাহিদ আলী ধর্মপাশা থানা এলাকা থেকে চুরি করে আনা পাঁচটি চোরাই গরু স্থানীয় হাওরে বেধে রাখেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমান, আবু বকর বাকী ও সহকারি উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ, দিবাসদের নেতৃত্বে মৌগাঁও বাগেরকোনা ও বুড়ুমপুর গ্রামে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক গরু চোর চক্রের সদস্য মোশাহিদ আলীকে আটক করেন। এসময় অপর গরুচোর চক্রের সদস্য শাহীনুর পাশা পালিয়ে যায়।
গরুর মালিকানা দাবী করা ধর্মপাশা থানার চোকাই রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের বাঘ বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জগিন্দ্র সরকারের ছেলে জগন্নাথ সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৪এপ্রিল) ভোর রাতে তার বসত ঘরে থাকা ছয়টি গরুর মধ্যে একটি গাভী গরু, একটি বাকনা গাভী গরু ও তিনটি ষাড় বাকনা গরু সহ মোট পাঁচটি গরু চুরি হয়। যাহার আনুমানিক মুল্য অনুমান দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন গরু সহ চোর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার থানা পুলিশ চোর আটক সহ গরুগুলি উদ্ধার করেছে। তবে এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানায় মামলা হবে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে সংবাদ প্রদান করা হয়েছে।