সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে দুই বস্তা ভর্তি নীল পলিথিনে মোড়ানো ১৭ কেজি গাঁজা, মাদক চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ী উদ্ধার ও ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানায় , গতকাল রবিবার(২১ জানুয়ারী) ভোর রাতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক(এসআই) মোহান রায়েরে নেতৃত্বে সহ সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) দিবাস চন্দ্র দাস ও সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে থানা এলাকায় রাত্রিকালীন প্রহরায় পাগলা বাজারে অবস্থান করেন। এসময় থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক(এসআই) মোহান রায় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন থানা এলাকার পাগলা পশ্চিমপাড়া হোসেনপুর পয়েন্টের কাছাকাছি কতিপয় লোকজন একটি নোহা গাড়ী নিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। সাথে সাথে তিনি সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের নিয়া এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল আহাদ, উপ পরিদর্শক(এসআই) পলাশ চৌধুরী দিপন, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ শরীফ মিয়া, মোঃ মোজাম্মেল হকদের সহযোগিতায় ভোর রাত ০২.১০মিঃ পাগলা পশ্চিমপাড়া হোসেনপুর পয়েন্টে জনৈক আশরাফুল হকের দোকানের সামনে পাগলা হইতে বীরগাঁও গামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে একটি নোহা গাড়ী (ঢাকা মেটো-চ-১১-৪২৭৩) আটক করেন এবং গাড়ী তল্লাশী করে গাড়ীর ভেতর থেকে ২টি চটের বস্তা ভর্তি নীল রঙ্গের পলিথিনে মোড়ানো ১৭ (সতের) কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় দুই পুরুষ ও এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। আটককৃতরা হলো হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানা এলাকার পুরানগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রউফ(৩৫), একই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ফয়সল মিয়া(৩২), অপর নারী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার উত্তর বড়কাপন গ্রামের বাঁচ্চু মিয়ার স্ত্রী লাকি বেগম(২৫)। তাহাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।