মাদারীপুরের শিবচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক শিক্ষক ও নারীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তারা মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, বাজিতপুর গ্রামের সূর্য মিয়া শিকদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬৫) তার ছেলে শিক্ষক সুমন শিকদার (৩৫) ও মেয়ের জামাই আলমাছ মোল্লা। আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে শিবচর উপজেলা বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর বাজার সংলগ্ন বাজিতপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরের দিন সোমবার রাতে মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন ওই ইউনিয়নের মৃর্জারচর সিপাই কন্দি গ্রামের নজরুল মোল্লা (৪৫), তায়েব মোল্লা (২৮), আফজাল মাদবর (৪৪), বাজিতপুর গ্রামের আকাশ শিকদার (৩০), সাগর শিকদার (৪৩), তারা মিয়া শিকদার (৫০) ও রাশেদ শিকাদর (২৮)
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মাদারীপুর আদালতে রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার করাকে কেন্দ্র করে আসামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাতে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের হাতে থাকা লোহার রড, ছেনদা, ভ্যানের চেইন, কাঠের চলা ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায়। এসময় রোকেয়া বেগম, তার ছেলে স্কুল শিক্ষক সুমন শিকদার (৩৫) ও মেয়ের জামাই আলমাছ মোল্লাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এসময় তাদের বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এঘটনার পরে সোমবার রাতে দিকে আহত সুমন শিকদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সুমন শিকদার বলেন, আমি একটি হাই স্কুলের শিক্ষক। আমাকেসহ আমার পরিবারের উপর হামলায় আমার মা ও ভগ্নিপতি আহত হয়েছি। তারা আমার মাসহ আমাদের আহত করেছে। কুপিয়েছে, পিটিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে এর বিচার চাই।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করছি। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
