জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদারীপুরের শিবচরে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত যুবককে মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের সাড়ে বিশরশি গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশী কহিনুর ও তৈয়বআলী শিকদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার রাতে কাশেম মিয়ার ছেলে মাহবুব রহমান (২২) এলাকার একটি মসজিদে নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজের কাছে আসলে এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বুলবুল, কহিনুর, রোহান, আলতু মোল্লা, নাজমুল, তৈয়ব আলী শিকদারসহ ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহবুবের উপর হামলা চালায়। মাহবুব দৌড়ে পাশর্বর্ত্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা ওই বাড়ির উঠোনে ফেলে মাহবুবকে এলাপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মূমূর্ষ অবস্থায় মাহবুবকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত মাহবুব রহমান বলেন, আমি মসজিদে নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বুলবুল, কহিনুর, রোহান, আলতু মোল্লা, নাজমুল, তৈয়ব আলী শিকদারসহ ১০-১২ জন মিলে আমাকে এলাপাতারি কুপিয়েছে। আমি ওদের বিচার চাই।
আবুল কাশেম মিয়া বলেন, জমি নিয়ে আমার প্রতিবেশী কহিনুর ও তৈয়বআলী শিকদারের সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওরা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাচ্ছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মাইনুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহতাবস্থায় এক যুবকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে।