আবারো শিবচরে এক কৃষক পরিবারের বসত ঘর থেকে একটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। টেলিভিশনের সংবাদে গ্রেনেড দেখে গ্রেনেড চিনতে পেরে প্রায় ৬ মাস নিজের ঘরে রাখা গ্রেনেড সদৃশ বস্তুর পুলিশের হাতে তুলে দিতে ৯৯৯ এ খবর দেয় পরিবারটি । পরে ওই বাড়িতে পুলিশ গিয়ে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। এরআগে ৩ জুলাই একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচরের একটি বসতঘর থেকে আরো একটি গ্রেনেড উদ্ধারের পর গত ৩১ আগষ্ট বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট তা ধ্বংস করে।
পুলিশ জানায়, গত প্রায় ৬ মাস আগে জেলার শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের বেপারীকান্দি গ্রামের শাহিন বেপারীর ৫ বছরের শিশুপুত্র সিফাত ও ইলিয়াস ফকিরের ৪ বছরের শিশুপুত্র সাব্বির বাড়ির পাশের খেলছিল। খেলতে খেলতে দক্ষিন দিকের একটি ঝোপের মধ্যে গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু পায়। শিশুরা বস্তুটি কৃষক মিজানুর বেপারীর অনার্স পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়ার কাছে দেখায়। সুমাইয়া বস্তুটি চিনতে না পেরে নিজেদের ঘরে রেখে দেয়। শুক্রবার শিবচরের গ্রেনেড ধ্বংস সংক্রান্ত একটি সংবাদ দেখে সুমাইয়া গ্রেনেড চিনতে পারে। পরে সে তার ঘরে রাখা বস্তুটি গ্রেনেড বুঝতে পেরে সাথে সাথে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে শিবচর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পরে রাতে ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো: সেলিম রেজার নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে পৌছে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সুরক্ষিত স্থানে রাখে।
ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: সেলিম রেজা বলেন, ওসি স্যারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু আমাদের কাছে দেয়। আমরা বালতির মধ্যে বালু চাপা দিয়ে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে হেফাজতে রেখেছি। প্রায় ৫/৬ মাস আগে শিশুরা খেলতে গিয়ে একটি ঝোপের মধ্যে এটি পেয়েছিল। পরে মিজানুরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বস্তুটি চিনতে না পেরে ঘরে রেখেছিল। আজকে টেলিভিশনের সংবাদ দেখে গ্রেনেড চিনতে পেরে পুলিশে খবর দিয়েছিল।