বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ জীবনকে গড়ে তোলার জন্যই শহিদ জিয়াউর রহমান প্রথম বাংলাদেশে শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শিশু একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনটি ছিল শিশু-কিশোরীদের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিশাল সামিয়ানার নিচে ছিল মঞ্চ। মঞ্চের একপাশে ছিল একদল শিশু-কিশোর ক্ষুদে গায়ক গায়িকার দল। অন্যপাশে ছিল ক্ষুদে বাদকের ব্যান্ড পার্টি। সেদিন ছিল প্রবল বৃষ্টি। প্রেসিডেন্ট জিয়া মঞ্চে উঠার সাথে সাথে সম্মিলিত কন্ঠে যে গানটি ধরেছিল, তা ছিল আমাদের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি রণ-সঙ্গীত। “চল চল চল, ঊর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি’র তিনদিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে জাসাসের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন ও রচনার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ওইদিন জিয়াউর রহমান উৎফুল্ল হয়ে ক্ষুদে শিশু-কিশোর শিল্পীদের মাঝে গিয়ে তাদের মধ্যমণি হয়ে মিশে গিয়েছিলেন। দোহারীর মত গানটি জিয়াও গেয়ে উঠেছিলেন।
কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল বলেন, জিয়াউর রহমানের ডাকনাম ছিলো কমল। ৫ ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন। কোন বোন ছিল না। তার বাবার নাম ছিলো মনসুর রহমান। মা জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। স্থায়ী নিবাস ছিলো বগুড়া জেলার বাগবাড়ি গ্রাম। বাবা মনসুর রহমান ছিলেন একজন কেমিস্ট।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিএনপি নেতা বেগম রেহানা ঈসা, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং কে এম এ জলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজাউল ইসলাম রেজা, দিদার সাঈদ, হাবিবুর রহমান, মিতুল মিঠু, মাঈনুল ইসলাম কিরন, মিজানুর রহমান, মোঃ শামিম, শাহজাহান, সোহাগ, বদরুল ও রিপন, নজরুল ইসলাম, এম রোমানিয়া, নন্দিনী রুমা, রিপা প্রমুখ।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ