ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শেরপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান, বাধা দেয়ায় আটক ১

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৭:০৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সরকারী যায়গা দখলমুক্ত করতে শেরপুরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। ৪ এপ্রিল দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সড়ক ও জনপথের বিভাগের কর্মকর্তারা জেলা শহরের অষ্টমীতলা মোড়ে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। তবে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে শুধু মাইকিং করেই উচ্ছেদের নামে ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। অভিযানে লোকজন বাধা দিলে পুলিশ একজনকে আটক করে।

 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যেখানে দোকানের একফুট জায়গা দখলে আছে সেখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় অর্ধেক দোকানই ভেঙে ফেলেছে। সিদ্দিক ফার্নিচার মার্ট এমনি একটি ফার্নিচারের দোকান। শুধু সিদ্দিক ফার্নিচার মার্ট নয় পুরো এলাকা জুড়ে প্রায় একই চিত্র। ভেঙে দেয়া হয় একটি মাদরাসার অজুখানাও। ক্ষতিগ্রস্তদের সবার মুখেই এমন কথা। কেউই নোটিশ পাননি বলে জানান। এদিকে দেখা গেছে, একাধিক দোকানের অংশ বিশেষ দখলে থাকলেও একটি দোকান গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু পাশের দোকানটিতে হাত দেয়া হয়নি। এভাবে কিছু রেখে কিছু দোকান ভেঙে দেয়াতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে লোকজন।

সিদ্দিক ফার্নিচার মার্টের মালিক আয়েশ উদ্দিন জানালেন, গত শুক্রবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে উচ্ছেদের মাইকিং করা হয়। আমরা আমদের জমিতে দোকান করেছি। যদি সওজ এর জায়গায় আমার দোকানের কিছু অংশ পড়ে থাকে তাহলে মেপে চিহ্নিত করে দিয়ে গেলেই আমরা নিজেরাই ভেঙে দিতাম। কিন্তু একফুট বা আধাফুট জায়গার জন্য পুরো দোকান ভেঙে দেয়া রীতিমত জুলুম। এখন আমরা কোথায় যাব। আমাদের রুটি রুজির রাস্তা এই রমজান মাসে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
 
এর অংশ হিসেবে অভিযানের সময় উচ্ছেদ করতে আসা সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনের সাথে এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে ধাওয়া করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয় এবং এসময় একজনকে আটকও করে নিয়ে যায় পুলিশ।
 
এ ব্যাপারে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পূর্বে আমরা একাধিকবার লিখিত চিঠির মাধ্যমে তাদেরকে অবহিত করে সতর্ক করেছি কিন্তু তারা কোন কর্নপাত করেনি। এমনকি অভিযানের পূর্বে টানা দুই দিন মাইকিং করা হয়েছে। আমরা সরকারী নিয়মাবলী অনুসরন করেই কাজ করেছি। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।