শেরপুরে পূজা অর্চনা, পাঠা বলি, জমজমাট নানাসব খেলনা, আর বাহারী দোকানের পসড়ার সমাহারের মধ্যে দিয়ে সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার ঐতিহ্যবাহী চরণতলার একরাত্রী-একদিনের কালী পূজা এবং মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
প্রতি বছর বৈশাখ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের প্রথম মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার বিষ্ণপুর গ্রামের চরণতলায় শ্মশান কালীপূজা ও মেলা শত শত বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কালের ব্যাবধানে এখন চরণতলার মেলাটি স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম পাহাড়ী জনতার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। তবে পূজা শুরু হয় রাত থেকে এবং রাত বারোটার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলে পাঠা বলি।
বিষ্ণপুর গ্রামের এই এলাকাটির ‘চরণতলা’ নাম হওয়ার পেছনে একটি কাহিনী রয়েছে। এই গ্রামে ‘চরণ হাজং’ নামে এক গৃহস্থ ছিল। সে প্রতিদিন গায়ের পাশ দিয়ে বয়ে যওয়া পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরী পাড়ি দিয়ে ওপাড়ে তার মেষ চড়াতে যেতো। একদিন ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে দ্রুত মেষগুলোকে পাড় করে সে নিজেও নদী পার হতে চেষ্টা করে। কিন্তু নদীর পানির প্রবল স্রোতে চরণ হাজং তলিয়ে যায়। সেই থেকেই এই জায়গাটির নাম ‘চরণতলা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।