গাজীপুরের শ্রীপুরে মাটির চুলায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরপরই স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত বৃষ্টি আক্তার (২৬) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় কালার ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
বৃষ্টির শাশুড়ি আমেনা খাতুন বলেন, ‘গত রোববার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করতে যায়। অসাবধানতায় কোনো এক সময় চুলার আগুন গায়ের ওড়নায় লেগে যায়। হঠাৎ করে তার চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, সে উঠানে দৌড়াদৌড়ি করছে। তার গায়ে আগুন জ্বলছে। এরপর আমি ও আমার আরেক পুত্রবধূ শাহনাজ পানি ঢেলে তাঁর শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহতের শ্বশুর আজিজুল হক বলেন, ‘পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃষ্টির শরীরের ৬৩ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
বৃষ্টির ভাই রিপন মিয়া বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে যাই। সেখানে বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে, রান্না করতে গিয়েই তার শরীরে আগুন লেগেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এরপর আমি শ্রীপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই সাখাওয়াত হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে জানতে পারি, চুলার আগুনে পুড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।