পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে গ্রামীণ মানুষের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় শেরপুর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর বাজার মনিটরিং অব্যহত রেখেছে । তার অংশ হিসেবে ১৩ এপ্রিল বুধবার জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির গুণগত মান ও ভেজাল রোধকল্পে বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. আশরাফুল আলম। এসময় ক্ষতিকারক রং ও ভেজাল কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি ৩৬ প্যাকেট বালিশ পাইপ নামের শিশু খাদ্য ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ৩টি হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়াও মুদি দোকানে রং ও কেমিক্যাল মিশ্রিত ভেজাল চানাচুর পায় মনিটরিং টিম। পরে সেই সব ব্যাবসায়ীদের শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয়। এছাড়াও ইফতারি সামগ্রী তৈরি দোকান ও দুধের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার উপস্থিত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পের্কে আলোচনা করেন এবং ভেজাল রোধে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে ক্যান্সার, কিডনি রোগ ও বিকলাঙ্গতাসহ অনেক রোগ বাসা বাঁধে। তাই আমরা জেলার মানুষকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
এসময় শ্রীবরদী উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা একেএম মাসুদুর রহমান, কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরুজ খান নুন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।