মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি পাগলা কুকুর কামড়ে একদিনে ৩৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন জায়গায় কুকুরটি মানুষজনকে আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুকুরের কামড় খেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- খাইছড়া চা বাগানের লক্ষী তাতী (৮) ভাড়াউড়া চা বাগানের রাত্রী উন্নেসা (২৮), উত্তরসুর এলাকার রিহাব মিয়া (১৪), মিশন রোড এলাকার বিজয় দেবনাথ (১০), মুসলিম বাগ এলাকার আল আমিন (১২), সাগরদিঘি রোডের তৃষনা ঋষি (৭), মাস্টার পাড়ার আদিত্য দেব (৭), মিশন রোড এলাকার রিহান (৬), রাজু (২৫), আব্দুর রহমান (২৫), লালবাগ এলাকার আব্দুল আল শরীফ (৬), পশ্চিম ভাড়াউড়ার সিয়াম (১২), সবুজ বাগের শ্রাবন (৬), গোলগাও এলাকার মোফাজ্জল (১৩), লাহার পুর এলাকার খোকন দেব নাথ (৫০), রাধানগরের স্বপনা বেগম (৪০), পশ্চিম ভাড়াউড়ার ইদ্রিস মিয়া (২৫), রুপসপুরের শুভাস সুত্রধর (৫০), গদারবাজারের নশাই মিয়া (৪৫), কালিঘাট রোডের রুবেল দাশ (২৭), কামরুল হোসেন (৫৫), আ. মনি (১৫), ক্যাথলিক মিশন সড়কের হামিদা বেগম (৩০), গুহ রোডের বিজয় ঘোষ (৩০), আবু বক্কর সিদ্দিকি (১৩), হবিগঞ্জ সড়কের সুমন (৩২), উপজেলা সড়কের শাহদত আহম্মদ (৩৪), শাহীবাগ এলাকার রবিউল (১৫), সাইফুল ইসলাম (১৫), বনগাঁয় গ্রামের তাজুল ইসলাম (৩৫), ইছবপুর একাকার সৈকত দেব (২০, জালালাবাদ গ্যাস ফিল্ডের শান্তনু রায় (৪০) ও কালাপুর এলাকার জুনেদ আহম্মদ (২৩)।
এদিকে, ওই পাগলা কুকুরটিকে আটক করতে রাতেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভার থেকে শহরে অভিযান করা হচ্ছে। কুকুর থেকে সাবধান থাকতে শহরে করা হচ্ছে মাইকিং।
চিকিৎসা নেয়া ব্যক্তিরা জানান, রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময়ই হঠাৎ করেই একটি কুকুর মানুষকে কামড় দিচ্ছে। ওই কুকুরের মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রেদোয়ান আহসান উল্লাহ বলেন, কুকুরের কামড়ে একদিনে অনেক রোগী এসেছে। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্ব্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কুকুরটিকে আটক করার চেষ্টা করছি। সম্ভবত কুকুরটি পাগল হয়ে গেছে। সবাইকে সাবধানে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আহত প্রত্যেককে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক রোধে টিকা দেয়া হবে।