বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মর্মান্তিক ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক এই এমপি ছাড়াও চারজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে তিনি রাজি হননি।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানাতে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের সময় পাঁচজন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের মরদেহ চ্যাংদোলা করে ভ্যানে তুলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যায়। এই বর্বর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা আরও প্রমাণ সংগ্রহ করছি। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের সংখ্যা বাড়তে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা কেবল হত্যাকাণ্ড নয়, বরং প্রমাণ লোপাটের সুপরিকল্পিত চেষ্টার ইঙ্গিত বহন করে। বিচারপতি গোলাম মোর্তজার নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই পদক্ষেপ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস