ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

সামান্য পুঁজিতে বরই চাষ, আত্মনির্ভরশীলের চেষ্টায় রাঙ্গুনিয়ার এক প্রবাসী

রাঙ্গুনিয়া (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:০১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
পরিবারের ভাগ্য বদলের চেষ্টায় পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর প্রবাসে,প্রবাস থেকে দেশে বেড়াতে আসলে করোনায় আটকে গেলেন এই প্রবাসী। দীর্ঘ সময়ের আটকে থাকার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রবাসী তখন চেষ্টা করেন আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে। বরই চাষ করবেন, সামান্য পুঁজি, সততা আর পরিশ্রম দিয়েই শুরু করেন "এ এস এগ্রো বাংলাদেশ" নামের একটি খামার।
 
বরই গুলো দেখতে ঠিক আপেলের মতো হয় । উপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং, খেতে সুস্বাদু । ফলটি রসালো ও মিষ্টি। এটি একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের কুল নাম তার ‘বল সুন্দরী’। বাংলাদেশে বেশির ভাগ কৃষক বল সুন্দরী কুল চাষে ঝুঁকছেন,কারণ হিসাবে লাভ বেশি পঁজি কম।রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এবারই প্রথম বল সুন্দরী চাষ করেছেন এ এস এগ্রো বাংলাদেশ'র স্বত্বাধিকারী  প্রবাসী মিজানুর রশিদ। উপজেলার ৬নং পোমরা ইউনিয়নের মধ্য-পোমরা তিতাগাজী পাড়া মোহাম্মদ মিজানুর রশিদের ২ বিঘা জমিতে বল সুন্দরী কুল চাষ করছেন, প্রথমবার ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি।
 
বরই চাষ দেখতে সরেজমিনে দেখা যায়, "এ এস এগ্রো  বাংলাদেশ" নামের একটি বড় খামার রয়েছে মিজান-অর রশিদের তিনি ২ বিঘা জমিতে ৩৩০টি কুলের চারা রোপণ করেন। রোপণের ৭ মাস পর কুল আসায় আনন্দে আত্মহারা তিনি। প্রতিটি কুল গাছে ১২ থেকে ১৮ কেজি বরই হয়েছে। বাগান থেকে পাইকারি ধরে  বিক্রয় হচ্ছে এসব কুল। কীটনাশকমুক্ত ফল হওয়ায় ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন এ ফল কেনায়। প্রথম বছরেই ভালো ফলন পেয়ে আগামীতে আরও বেশি ফলনের আশা করছে প্রবাসী। এমনকি কুলের আকর্ষণীয় রং ও আপেলের মতো সাইজ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। 
 
প্রবাসী মিজান-অর-রশিদ বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল খালেক'র পরামর্শে আমি বল সুন্দরী কুল চাষে সাহস, আগ্রহ দেখাই এবং বিনিয়োগ করি। আশা করি, কম পুঁজি, আমি পর্যাপ্ত মুনাফা করব এবং অন্য কৃষক ভাইদের বলব তারাও যেন এ বল সুন্দরী চাষ করেন। এ কুল চাষে তারা পর্যাপ্ত মুনাফা করতে পারবেন। আমি মনে করি বেকারত্ব দূর করতে এ কুল চাষ ভূমিকা রাখবে। কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কার্ড থাকলেও গত এক বছরে আমি কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাইনি। শুধুমাত্র কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ এবং দেখাশোনা করেন। 
 
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল খালেক কাছে  প্রথমেই কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বলেন উনি প্রবাসে থাকেন সে জন্য কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা  পাইনি। আমরা প্রথমে ওনাকে মাল্টা চাষ করতে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি মাল্টা চাষে আগ্রহে না বলে জানান। পরে ওনি বরই চাষ করবেন বলে। উনি আমাদের কৃষি কার্ডের আওতায় একজন কৃষক। আমরা ওনাকে সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকি।