ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১
ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলন

সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত কাজের গতি না বাড়লে গণপরিবহণ বন্ধের আল্টিমেটাম

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২ জানুয়ারী ২০২২ ০৮:০১:০০ অপরাহ্ন | গণমাধ্যম

গাজীপুর সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্লথ গতির উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসনে অবিলম্বে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে দি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতি। 

 

রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও জিলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন মন্তা।  লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবহন শিল্পসহ সকল ব্যবসায়িক মহলকে রক্ষা করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণ না ঘটালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। ধীরগতির চলমান কাজে দুর্ভোগের পাশাপাশি পরিবহণ মালিকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে গাজিপুর পর্যন্ত যেতে ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট সময় লাগলেও গাজিপুর থেকে ঢাকা মহাখালী যেতে সময় লাগছে ৩ থেকে ৫ ঘন্টা। এতে সাধারণ যাত্রীসহ চালকদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি সরকার উর্ধ্বতন মহলকে বারবার বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে দৈনিক ১০ হাজার ৮০টির মতো গণপরিবহণ চলাচল করছে। প্রতিদিন গাড়ির তেল বাবদ নষ্ট হচ্ছে দেড় কোটি টাকার উপরে। এছাড়া গাড়ির অন্যান্য খরচ তো রয়েছে। 

 

এ সময় এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি ও দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীর সভাপতি মো.আমিনুল হক শামীম বলেন, শুধুমাত্র ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তাটা চলাচলের উপযোগী চাই। রাস্তার ওপরে যত্রতত্র ট্রাক ও সরঞ্জামাদী চাই না। প্রতিদিন সব মিলিয়ে দুই কোটি টাকার মতো নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ১০ কোটি টাকা একসঙ্গে খরচ করলেই রাস্তাটা চলাচলের উপযোগী হয়। তিন বছর মেয়াদী রাস্তা ছয় বছরেও কাজ শেষ না হওয়া হতাশা ছাড়া কিছুই নয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বলছে চলতি বছরের শেষের দিকে রাস্তার কাজ শেষ হবে, কিন্তু যে ভাবে কাজ চলছে আগামী তিন বছরেও মনে হয় না শেষ করতে পারবে। কারণ ছয় বছরে কাজের প্রগ্রেস হয়েছে ৬৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২ হাজার ৩৭ কোটি টাকার কাজ এখন ৪ হাজার ২০০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য। না হয় আগামী ১৬ জানুয়ারী থেকে সকল গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। 

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা, জিলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল দত্ত, কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা প্রমুখ।