ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে বৌদ্ধ বিহারে দেড়শ বছরের পুরোনো মূর্তি চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ ০২:০৯:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

 

সীতাকুণ্ডের পান্থশালা ধর্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারে দেড়শ বছরের পুরোনো ৩ টি বুদ্ধ প্রতিবিম্ব ও দানবাক্সের টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের একটি তদন্ত দল। চুরির ঘটনায় ওই এলাকার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার পর সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড পন্থিছিলাস্থ পান্থশালা ধর্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পান্থশালা বৌদ্ধ বিহারের দক্ষিণ পাশের গ্লাসের লক অকেজো করে মন্দিরে প্রবেশের পর ৩ টি অষ্ট ধাতুর ১-২ ফুট উচ্চতার (সোনা, রূপা, পিতল, তামা, লোহা, সিসা) তৈরি অত্যন্ত দামি, ভারী দেড়শ বছরের পুরোনো বুদ্ধ প্রতিবিম্ব ও দানবাক্সের টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ভোরে বিহারের ভিক্ষু মন্দিরে প্রবেশ করে দেখতে পান অনেকগুলো প্রতিবিম্বের মাঝে অষ্টধাতুর ৩ টি প্রতিবিম্ব নেই। এসয়ম তিনি মন্দিরের দক্ষিণ পাশের গ্লাসের লক ভাঙা দেখতে পান। পরে বিহার কমিটিকে জানালে তারা সেখানে ছুটে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ বড়ুয়া একুশে পত্রিকাকে বলেন, একটি চক্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কেননা মন্দিরে অনেকগুলো প্রতিবিম্ব থাকলেও সেগুলোতে চোর চক্র হাত দেয়নি৷ অথচ অষ্টধাতুর তৈরি সবচেয়ে দামি ও ওজনে ভারী প্রতিবিম্বগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। এতোগুলো প্রতিবিম্বের মাঝে অষ্টধাতুর তৈরি প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করা সহজ নয়। একই কথা বলেন, পান্থশালা ধর্মাংকুর বৌদ্ধ বিহার কমিটির কার্যকরী সদস্য দিবাকর বড়ুয়া। তিনি বলেন, ৩ টি অষ্টধাতুর তৈরি দামি বুদ্ধ প্রতিবিম্ব চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও বিহারের দানবাক্সে থাকা আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এর আগেও এই বিহারে চুরির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় একটি চক্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেইসাথে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এ চক্রকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য। কেননা প্রতিবিম্ব চুরির ঘটনা শুধু চুরিই নয় আমাদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাতও। জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার এসআই মোঃ ফারুক হোসেন একুশে পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা বিস্তারিত পুরো ঘটনা তদন্তের পর জানাতে পারব। এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে সিসি ক্যামেরা না থাকায় কোন ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি।