সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। শিমুলবাক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতুর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।বুধবার (১৫ডিসেম্বর) বিকালে আদালতের আদেশের একটি অনুলিপি শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে স্থগিতের এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ইউপি নির্বাচনের সকল ভোট কেন্দ্রের ব্যালট পেপার গণনা ও সেই অনুযায়ী পুনঃ নির্বাচন করতে হবে। তাছাড়া শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদের ২৮ নভেম্বর-২০২১ইং এর নির্বাচনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ অফিসিয়ালি পাইনি। এ বিষয়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনের আইন শাখা রয়েছে। মামলা থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন ছিল ২৮ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখ। ঐ নির্বাচনে শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তন্মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান জিতু নৌকা প্রতিকে পান ৩,২৫১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ মিয়া চশমা প্রতিকে পান ৪,০৫৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির আহমদ মোটর সাইকেল প্রতিকে পান ৭৮৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনুর রহমান আনরস প্রতীকে পান ৬,৩৩৯ ভোট।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানু রহমান জিতু বলেন, বিগত ২৮ নভেম্বর-২০২১ ইং তারিখের নির্বাচনে শিমুলবাক ইউনিয়নে প্রতিনিটি ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনায় ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। আমি হাইকোর্ট ব্রেঞ্চে প্রত্যোকটি ভোট কেন্দ্রের ব্যালট পেপার পুনরায় গণানার জন্য আবেদন করেছি। মাহামান্য হাইকোর্ট আমার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন।