ধারাবহিক প্রথম পর্বঃ গত ১৩ই নভেম্বর দৈনিক দাবানলে প্রকাশিত রেলের ষ্টোর ডেলিভারী ভ্যান থেকে সৈয়দপুর রেলের ষ্টোর ডেলিভারী ভ্যান থেকে চোরদের কাছে মূল্যবান সরঞ্জাম বিক্রি এবং স্থানীয় জনতা কর্তৃক মালামাল আটক ও দলীয় পরিচয়ে দলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক চোরাই মাল ছিনতাই। ইতিপূর্বেও ষ্টোর ডেলিভারী ভ্যানের মালামাল গভীর রাতে ধরে থানায় দিলেও টনক নড়ছে না রেল প্রশাসনের। ষ্টোর ডেলিভারী ভ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসবিসি রেলের মূল্যবান মালামাল ডিসিওএস ষ্টোর থেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। এবং ফেরার পথে বিভিন্ন দপ্তরের রেলের পুরাতন মালামাল ষ্টোরে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেন। এবং এই মালামাল সঠিকভাবে জমা দিলো কিনা তার দায়িত্ব থাকে ষ্টোর ভেরিফাই কর্মকর্তার কাছে। তিনি গিয়ে দেওয়া এবং ফেরত নেওয়া দুই কাজেরই তদাররকির দায়িত্বে আছেন। এই দুই কর্মকর্তা যোগসাজোস করে কাগজ টেম্পারিং করে সুকৌশলে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার মূল্যবান মালামাল চোরদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এব্যাপারে গোপন সূত্রে চোর গ্রুপের সাথে কথা বললে তারা জানায় একেকজন এসবিসি ও ষ্টক ভেরিফাই কর্মকর্তারা রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। তারা সকলেই এখন বিলাস বহুল গাড়ি বাড়ির মালিক। তাদের বিত্ব বৈভব দেখে মনেই হয়না তারা সরকারী চাকরি করেন।
সরকার ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যে সকল রেলের মালবাহি বগি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করেছে উক্ত গাড়ি থেকে সরকারের কাছে জমা হবে পিতল ব্রাশ ৫/১০ইঞ্চি ওজন ১০ কেজি, ষ্প্রীং একেটির ওজন ৯৫ কেজি, বাফার, দরজা, ডালা ও গার্ডার এই সমস্ত মালামাল সরকারের গোডাউনে জমা হবে। উক্ত মালামাল ষ্টোর ডেলিভারী ভ্যানের মাধ্যমে রাজবাড়ি, ঈশ্বরদী, বোনারপাড়া, সান্তাহার থেকে উক্ত ভ্যানের মাধ্যমে সৈয়দপুরে জমা হবে। কিন্তু এখানেই চলে চুরির খেলা। চোরেরা জানায় এসবিসি ও ষ্টক ভেরিফাই কর্মকর্তা সৈয়দপুরের কিছু ভাংড়ি লোহা ব্যবসায়ীকে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে। যারা দশ বছর আগে ফেরি করে কটকটি বিক্রি করতো তারা এখন কোটিপতি এদের বদৌলতে। এদের পৃষ্ঠপোষকতায় সৈয়দপুরে রয়েছে একটি শক্তিশালী চোর সিন্ডিকেট। উক্ত সিন্ডিকেটের প্রধান সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতা যিনি লোহাপীর নামে পরিচিত। উক্ত লোহাপীরও রেল কারখানা লুটপাটের বদৌলতে এখন শতকোটি টাকার মালিক।
(চলবে) দ্বিতীয় পর্বে জানুন আরো বিস্তারিত।