সৈয়দপুরে রেল কারখানার ব্যাকবোন ড্রেন দখল করে সৈয়দপুর পৌরসভা স্থায়ী মার্কেট নির্মান শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে দৈনিক দাবানল পত্রিকায় পৌরসভার দখলবাজী নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ পি রবেশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হলে রেল কর্তৃপক্ষ নড়ে চড়ে বসেন, রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত রেলের জমিতে মার্কেট নির্মান করায় রেল কর্তৃপক্ষ পত্র মারফত সৈয়দপুর পৌরসভাকে নোটিশ প্রদান করতঃ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। তথাপিও পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের পোষা গুন্ডা বাহিনী উক্ত কাজের টেন্ডার পাওয়ায় কাজ বন্ধ না করে দিব্যি মার্কেট নির্মান কাজ অব্যাহত রাখেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় দৈনিক দাবানলে সংবাদ পরিবেশিত হলে গত ৮ই এপ্রিল দৈনিক দাবানল পত্রিকার সাংবাদিককে বাজারে একলা পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের পোষা গুন্ডাবাহিনী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
বিষয়টি সেনসেটিভ হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং দুস্কৃতিকারীদের যথাযথ বিচার দাবী করে। সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের সনাক্ত করেন এবং গত ১১ই এপ্রিল নীলফামারী আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধীরা একজোট হয়ে উপজেলা চেয়াম্যান মোকছেদুল মোমিনের নির্দেশে গত ১২ই এপ্রিল নীলফামারীর আমলী আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করে। সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হক একাধারে সাংবাদিক ও স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উপজেরা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে দলীয় গ্রুপিং করে পানি ঘোলা করতে থাকেন ফলে উপজেলা আওয়ামীলীগ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
যে মার্কেট নির্মান নিয়ে এতকিছু ঘটনার অবতারনা হয়েছে আজ ১৩ই এপ্রিল বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রেলের ফিল্ড কানুনগো ৭নং কাচারী, পার্বতীপুরকে সাথে নিয়ে উক্ত মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে রেলওয়ের নকশা অনুযায়ী মার্কেটের ড্রেনের মালিকানা বাংলাদেশ রেলওয়ের বলে রায় দেন এবং উক্ত মার্কেটের নির্মান কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তাঁদের এই নির্দেশ দেয়া মাত্রই ঠিকাদার ও পৌর কাউন্সিলরগন বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্রুত পুলিশ তলব করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে সাংবাদিকের ভূমিকায় ভূমিদস্যুরা সুবিধা করতে না পেরে তাকে লাঞ্ছিত করে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা করে তাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।