ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

সৈয়দপুরে সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

মোতালেব হোসেন ঃ | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৈয়দপুরের ইতিহাস নিয়ে নির্মিত নাটক মঞ্চস্থ হলো গত ১৯ শে ডিসেম্বর। নাটক নির্দেশনায় ছিলেন দেবাশিষ ঘোষ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসে বসে তাদের মৌখিক বিবৃতি ও বধ্যভূমির ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তৎকালীন আওয়ামীলীগের শহীদ পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত মর্মান্তিক কাহানী প্রত্যক্ষভাবে অবহিত হন এবং তিনি ষ্পষ্টভাবে বলেছিলেন কোনক্রমেই নইম খান ওরফে নইম গুন্ডা যার পরিচয় ছিলো মানুষ জবাইকারী কসাই হিসাবে তার চরিত্র তিনি নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন। কিন্তু এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নইম গুন্ডার সন্তান বর্তমান সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন এবং এমপি খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর মদদপুষ্ট ক্যাডার কুখ্যাত চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী দিল নেওয়াজ খান যার সাথে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামালের সাথেও সখ্যতা দেখা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধারা আগাম শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে দেবাশিষ ঘোষ হয়ত এইসকল উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কুখ্যাত গুন্ডা নইম খানের অংশটুকু বাদ দিতে পারেন। নাটকে নইম গুন্ডার চরিত্র নিয়মিত রিহার্সেল হলেও যেদিন নাটক মঞ্চস্থ হয় সেদিন দেখা গেলো তাদের শঙ্কাই সঠিক। নাটকে অন্যান্য সকল চরিত্র বহাল থাকলেও কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রথম আলোর সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টুর দ্বারা আর্থিকভাবে প্রভাবিত হয়ে নাটক নির্দেশক দেবাশিষ ঘোষ উক্ত কুখ্যাত চরিত্রটি নাটক থেকে বাদ দিয়েছেন। পাশাপাশি সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু স্থানীয় শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের খাটো করে ইতিহাস বিকৃত করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি তার শহীদ বাবা আয়েজউদ্দিনকে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী হিসাবে নাটকে মঞ্চস্থ করান।

এইসকল অনিয়মের প্রতিবাদে সরকারী অর্থ অপচয় করে দেবাশিষ ঘোষ স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করেছেন বলে নাটকের দিনই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ২১শে ডিসেম্বর স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার এবং সাধারন মানুষ মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু শহীদ পরিবারের সন্তান হয়েও ইতিহাস বিকৃত করায় তাকে সৈয়দপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সন্তান মহসিনুল হক মহসিন, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, ইউনুস কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ইউনুসসহ উপস্থিত অনেকে। বক্তারা নাটকের চরিত্র পূর্নবিণ্যাস করে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে নাটকটি পূনঃ মঞ্চায়নের জোর দাবী জানান।