ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

সৈয়দপুরে হিসাব নেই অনুদানের দুই কোটি টাকার

মোতালেব হোসেন : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

হিউম্যানিটি ইন ডিসষ্ট্রেস (হিড) এনজিও যার প্রধান কার্যালয় রংপুর, উক্ত প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুরে এফওএইচ নামে প্রায় তিনটি স্কুল পরিচালনা করে আসছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি আছে কিনা, কারা এটি পরিচালনা করে, বরাদ্দ কত, বাচ্চাদের টিফিন ও আনুসাঙ্গিক কি কি বরাদ্দ আছে তা কোন অবিভাবকই জানেন না। উপরন্ত স্কুলের কারিকুলামে কি শিক্ষা দেওয়া হয় এবং সরকারী আদেশ অনুযায়ী শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত পাঠদান হয় কিনা সেটিরও কোন সঠিক হিসাব নেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে।

পাশাপশি ২০২১ সালে তুর্কী সরকারের অনুদানে কম্বল বিতরন ০৩০৭০০০.৬৬২.৬৯.০৮৫.১৮-০০৫/০৫.১২.২০২১ তারিখে বরাদ্দ আসে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা, এফওএইচ এর অধীনে ক্লিন ওয়াটার সাপ্লাই গভীর নলকুপ বাবদ ৩১ লক্ষ টাকা-০৩.০৭.২৬৬৬৬.৬৬৩.৬৯.০৫৩.২১৩/তারিখ ২৬.০৪.২০২১ তারিখ। করোনাকালীন ও রমজান প্রজেক্টে বরাদ্দ আসে ২১ লক্ষ টাকা। ০৭/০৫/২০২১ তারিখে আবারো গভীর নলকুপ স্থাপন ০৩.০৭.২৬৬৬.৬৬৩.৬৯.০৫৫.২১৫ বরাদ্দ আসে ১২ লক্ষ টাকা, কোরবানী প্রোগ্রাম ২০২১ ০৩.০৭.০০০০.৬৬২.৬৯.১৫০.১২-৩৩০/তারিখ ২৮.০৬.২০২১ এ বরাদ্দ আসে ৩৪ লক্ষ টাকা, আবারো খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় এফওএইচ এর আওতায় ০৩.০৭.২৬৬৬.৬৬৪.৬৯.১৪০.১২-১২৩/তারিখ ২৮.০৩.২০২২ এ বরাদ্দ আসে ১৯ লক্ষ টাকা হিসাবে ২০২১ সালে মোট বরাদ্দ আসে এক কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। এই সব প্রজেক্টের বাস্তবায়ন এর ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা দপ্তরের এনজিও শাখায় কোন তথ্য নেই। এ ব্যাপারে উপজেলায় গিয়ে এনজিও শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টেবিলে ৪ দিন ঘুরেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি তিনি বারবার একই কথা বলছেন তাদের কাছে এই এনজিওর ব্যাপারে কোন প্রকার তথ্য নেই। 

এ ব্যাপারে উক্ত এনজিও পরিচালনাকারী কিছু কর্মচারীর নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান উক্ত এনজিওর সিংহভাগ টাকাই ভাগ বাটোয়ারা হয়ে থাকে মাঠ পর্যায়ে গোলাহাট এলাকার লতিফ, চামড়া গুদাম এলাকার একজন পরাজিত কাউন্সিলর পদপ্রাথী ভাগ বাটোয়ারার অংশীদার। মূল টাকাটি এখান থেকে নিয়ে যান হিড এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হারুন উর রশিদ। এব্যাপারে তার দপ্তরে ফোন করলে তারা সঠিক তথ্য দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন। গোলাহাট এলাকার জনৈক বাসিন্দা জানায় গোলাহাট এলাকার লতিফ একজন অশিক্ষত মূর্খ ছেলে হয়ে একটি স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে আছে এবং সে এখন কোটি টাকার মালিক। গোপন সূত্রে জানা যায় সে এখন বিলাসবহুল বহুতল ভবন বানানোর কাজে ব্যস্ত।

এব্যাপারে সৈয়দপুরের একাধিক বিশিষ্ট জনের অভিমত উক্ত এনজিও পরিচালিত এফওএইচ স্কুলের বিদেশী যোগাযোগ রয়েছে, তাই এখানে কি ধরনের পাঠদান হয়, ছাত্রছাত্রীদের সঠিক তথ্য নিয়ে তারা কে কোথায় কি করছে জানা প্রয়োজন কারন বিদেশ থেকে আনা সাহায্য সঠিক ব্যবহার না করে কোন অপকর্ম বা জঙ্গী সংশ্লিষ্ঠতা কিংবা সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চলছে কিনা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা প্রয়োজন।