বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেছেন, স্বাধীনতার পর পরে শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫সাল পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের মানুষকে অন্ন, শিক্ষা, চিকিৎসা দিতে পারেনি। শেখ মুজিবুর বাংলাদেশের মানুষকে দুর্ভিক্ষ এনে দিয়েছিল। সে সময়ে না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। ঢাকা শহরে ডাস্টবিনের খাবার নিয়ে মানুষ ও কুকুর যুদ্ধ করেছে। শেখ মুজিব বাংলাদেশের মানুষের মুখে খাবার দিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নীলফামারীর ডোমারের গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫সালে পটপরিবর্তনের পরে স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মাত্র দেড় বছরের মাথায় দূর্ভিক্ষ পরায়ন বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। মাত্র আড়াই বছরের মাথায় পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিনত করেছে। সে সময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানি হয়েছে নেপালে। পরবর্তীতে সাড়ে নয় বছর স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রিয় নেত্রী ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের কৃষকের জন্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
হাসান জাফির আরও বলেন, গত সাড়ে ১৫বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শুধু মাত্র কৃষি সেক্টর থেকে ২লাখ কোটি টাকা লুটপাট করে, চুরি করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০০৮সালে বাংলাদেশের কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ক্ষমতায় আসলে বিনামূল্যে কৃষকদের সার দিবে। তার বদলে তারা সারের দাম গত কয়েক বছরে দফায় দফায় বাড়িয়েছে, জ্বালানি ডিজেলের দাম, বিদ্যুতের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি করেছে।
এছাড়াও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি করেছে। তারা কৃষি পেশাটিকে অলাভজনক পেশায় পরিনত করেছে। যারা বিএনপির সাপোর্ট করেছে তাদেরকে সাড়ে পনের বছরে সুখে থাকতে দেয়নি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য শেষে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কৃষিখাতে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
পরে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-০১আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। এছাড়াও সমাবেশে গোমনাতী ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি রইসুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকদলরে আহ্বায়ক মুগ্নি মোহাম্মদ মাসুদুর আলম দুলাল,ডোমার উপজলো বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালু, সাধারণ সম্পাদক আখরুজ্জামান সুমন,পৌর বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান আনু, সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জাফর আলী,ডমিলা উপজলো বএিনপরি সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসনে, সাধারণ সম্পাদক বদউিজ্জামান, সাংগঠনকি সম্পাদক গোলাম রব্বানীসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ