দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৩৬১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে চলতি বছর এইডিস মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ হাজার ৭০২ জনে। তাদের মধ্যে জুলাই মাসের ২৬ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭২৪ জন।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ঢাকায় ৫ জন, বাকি ৫ জন ঢাকার বাইরের। সব মিলিয়ে এ বছর ২২৫ জনের মৃত্যু হল ডেঙ্গু জ্বরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যে দুই হাজার ৩৬১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগীই বেশি।
ঢাকায় ১১২২ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৩৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন এই সময়ে।
আগের দিন রেকর্ড ২ হাজার ৬৫৩ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৪৬৭ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৮০৯ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৬৫৮ জন।
জুন মাসে যেখানে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাইয়ের প্রথম ২৬ দিনেই সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ছয়গুণ হয়েছে।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে। গত মাসে ৩৪ জনের মৃত্যুর পর চলতি মাসের ২৬ দিনে প্রাণ গেছে ১৭৮ জনের।
মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে ১ হাজার ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।