কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ডাকাতদল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সড়কে সুযোগ বুঝে ডাকাতি হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বাজারে যাওয়া সাধারণ মানুষ ডাকাত দলের কবলে পড়ে সর্বত্র হারানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র সড়কে নয়, এখন ডাকাতরা গ্রামগঞ্জেও ঢুকে পড়েছে ডাকাত দল। এতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। গ্রামাঞ্চল হওয়ায় সন্ধ্যার পর স্থানীয়রা শপিংমলে যেতে আতঙ্ক বোধ করছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী লোকজন দলবেঁধে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্যাং তৈরি করেছে। তারাই মূলত সুযোগ বুঝে ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে বিভিন্ন সড়কে ডাকাতি করছে।
গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউপির জাদিমোড়ার জুম্মাপাড়া এলাকায় রাত ১টার দিকে ডাকাত ঢুকে পড়ে। রাত্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা কিছু ভলেন্টিয়াররা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১৬ এপিবিএন) খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছালে ডাকাতদল পালাতে বাধ্য হয়। ওই সময় ভলেন্টিয়ার ও পুলিশের বাঁধার মুখে কারো ঘরে ডাকাতি করার সুযোগ পায়নি ডাকাত দল।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে জাদিমুড়া (জুম্মাপাড়া) এলাকায় একটি ডাকাত দল ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে। তাৎক্ষণিক এপিবিএন অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো জানান, এপিবিএনের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় ডাকাতদল দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় তারা রোহিঙ্গা নাকি স্থানীয় তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের চিহ্নিত করতে অনুসন্ধানসহ গ্রেফতারে এপিবিএনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ক্যাম্প এলাকায় অতিরিক্ত অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাহাছাড়া এলাকার নোয়াখলী পাড়া সড়কে সিএনজি থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন লোক ডাকাতদের হাতে মারধরের শিকার হন এবং তাদের টাকা পয়সা সব লুটে নেয় ডাকাতরা।
হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার সব সময় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি এবং ওসি সাহেবকেও বলে রেখেছি যেনো পুলিশি টহল জোরদার করা হয়।
হোয়াইক্যং ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ইদ সামনে রেখে কেউ যেন ছিনতাইকারী বা ডাকাতদের হাতে হয়রানির শিকার না হয় প্রশাসনিক টহল জোরদার করা খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন বাটপার পার্টি, ছিনতাইকারী পার্টি, এরা বিভিন্ন জায়গায় উৎপেতে থাকে। আমরা সেটা লক্ষ্য রেখে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিভিন্ন টিম গঠন করেছি এবং কয়েকটি জায়গায় ডিউটি বা টহল বাড়িয়েছি।