দেশ যখন দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণের শঙ্কায় তখন স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাল, দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা সংক্রমণের ৫২তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি) নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে ৪৮.১ শতাংশ। একইসঙ্গে মৃত্যুও বেড়েছে ৪১.৭ শতাংশ।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একইসঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ জন।
তবে পূর্ববর্তী সপ্তাহে (২০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর) ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৫১ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ২ হাজার ১৭০ জনের। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১২ জন।
এদিকে, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮১ জনে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, এ সময়ে নতুন করে আরও ৬৭৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪০ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ১৯ হাজার ৯৮০ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭১ জন।
এর আগে, রোববার (২ জানুয়ারি) দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জন মারা যান। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হন ৫৫৭ জন।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ২ হাজার ৯৫২ জন। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৩ হাজার ৬১২ জন।
এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) বিশ্বে মারা গিয়েছিল ৩ হাজার ৮৭৫ জন। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়েছিল ১১ লাখ ৮৭ হাজার ১২৫ জন। অর্থাৎ, গতকালের তুলনায় আজ আক্রান্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ কোটি ৬ লাখ ৩২ হাজার ৯০১ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৩১৭ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৯ জন।