কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। তবে প্রতীক পেলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত (নৌকা) আজই প্রচারণার মাঠে নামেননি। তিনি রোববার থেকে প্রচারণা শুরু করবেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) প্রচারণায় নামবেন শনিবার থেকে।
শুক্রবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নৌকা প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, সন্ধ্যায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করবো। রোববার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবো।
সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আজ প্রতীক পেয়েছি। শনিবার থেকে প্রচারণা শুরু করবো। কুমিল্লার মানুষ এবারও আমার পক্ষে গণজোয়ার তুলবে এবং বিজয়ের মালা পরাবে।
এদিকে, প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া)। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং নাগরিক কমিটির স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ) বাদ মাগরিব থেকে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন।
এচাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় সরব হয়ে উঠছে নির্বাচনী মাঠ। প্রার্থীদের আমল নামার হিসাব মিলাতে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে চলছে তুমল আলোচনা। ভোটারদের মন কাড়তে নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ১৫ জুন ভোটের মাধ্যমে জনগণ অন্যায় অত্যাচার, অপশাসন ও দুর্নীতির জবাব দেবে। বিগত বছরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। আগামীতে নিরাপদ সম্প্রীতির কুমিল্লা নগরী গড়ে তুলতে ঘোড়ার বিকল্প নেই।
নাগরিক কমিটির স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল বলেন, নেতাকর্মীরা বিকেল থেকে প্রচারণায় নেমেছে। আমি বাদ মাগরিব ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছি।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ, কাউন্সিলর পদে ১০৬ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।