ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরেছেন, জাহাঙ্গীর (গাজীপুরের মেয়র) আ.লীগ করতো, সে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র হয়েছে। তাকে বিরত রাখা নির্বাচন কমিশনের আচাররণেরও বিরুদ্ধে।
তবে তার মা আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে ছিলেন না। দলীয় কোনো আলোচনার আগে কিছু বলতে চাই না।
বুধবার (১০ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘সাব-রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্যা ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক' অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে মির্জা ফখরুলের অস্বীকার করা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি একথা গায়ে পড়ে বলিনি। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন, তার জবাবে আমি বিষয়টি বলেছি। তাদের স্বপ্রণেদিত হয়ে সংলাপে ডাকিনি। এখানে এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির উপায় নেই।
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণে সরকার দয়া বর্ষণ করছে না, এটা তাদের অধিকার। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে এ অধিকার তাদের নেওয়া প্রয়োজন। তাদের কোনো প্রলোভন দেখাচ্ছি না। এটা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা।
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বিশ্বাস করেন না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে তারা বিশ্বাস করছে না, কিন্তু কেন? নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা সেভাবে হবে। তাদের নিজেদের অধিকার যেভাবে প্রয়োগ করা উচিত সেভাবে নিজেরা করবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ পরিবহন সেক্টর থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ শর্তহীনভাবে হ্রাস করার অঙ্গীকার করেছে। এ প্রেক্ষাপটে আগামী ৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবহৃত যানবাহনের ন্যূন্তম ৩০ ভাগ বৈদ্যুতিক যানবাহন ক্যাটাগরিতে রুপান্তরিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ১২৪ ধারা মোতাবেক বৈদ্যুতিক মোটরযান চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩ আমরা ইতোমধ্যে প্রণয়ণ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০০টি বৈদ্যুতিক ডাবল ডেকার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাস যুক্ত হবে। এরমধ্যে ৮০টি ঢাকা শহরে ও ২০টি চট্টগ্রামে চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাগুলোতেও এই বাস আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, এখানে এসেিআমি অনেক খুশি। অনেক মানুষ এসেছে যারা পৃথিবীকে বাঁচাতে চায়। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজে করতে হবে। শুধু বড় বড় কথা মুখে বললে হবে না।
মন্ত্রী নিরাপদ সড়কের জন্য মূল্যবান ফান্ডিং করার জন্য বিশ্বব্যাংকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের এই ফান্ডিং বাংলাদেশের অনেক কাজে আসবে।