টাঙ্গাইলের নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেছেন, আমার যে কোন ভাল কাজের সাথে আপনারা সাথে থাকবেন। আর খারাপ কাজের সমালোচনা করবেন। আমি খুব স্পষ্টভাষী মানুষ। আমি একমাত্র আল্লাহ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে কেয়ার করিনা। তিনি আমাকে এখানে বসিয়েছেন। তিনি আমার অভিভাবক।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রথম দিন থেকেই আমার চেয়ারের পাশে দুটি চেয়ার রেখেছি। একটা হলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ার আর একটা হলো রেমিটেন্স যোদ্ধাদের চেয়ার। তারা যখন আসবে আমার কার্যালয়ে তাদের অগ্রাধিকার সবার আগে। তারা বসে আমার সাথে এককাপ কফি খাবে এটাই আমার বড় পাওয়া। ডিসি সাহেবের সবচেয়ে বড় মেহমান এই দুইজন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশ দিয়েছে আর রেমিটেন্স যোদ্ধারা নতুন বাংলাদেশের জন্য শ্রম ঘাম দিয়ে বিদেশের মাটিতে কাজ করছেন। তাদের আমরা যদি সম্মান না দেই তবে আমরা জাতি হিসেবে এগুবো না। আমি আমার ইউএনওদের অনুরোধ করবো তারাও যেন তাদের চেয়ারের পাশে এই দুটি চেয়ার রাখেন।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রসাশনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নবাগত জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে অভিযোগ বক্স বসানোর অনুরোধ থাকবে এসিলেন্ডদের প্রতি। ডিসিদের যে ক্ষমতা দেয়া আছে তার ১০ ভাগও যদি আমি প্রয়োগ করি তাহলে বহু মানুষ আছে যারা এ এলাকায় থাকতে পারবেনা। কিন্তু আমরা সব কিছু করবো সহনীয়ভাবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল হসেম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ওলিউজ্জামান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, ডিসি জসীম উদ্দিন হায়দার প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার তিনি টাঙ্গাইলের ৩৮তম জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। এর আগে বরিশাল জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নোয়াখালী জেলার মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ডিসি জসীম উদ্দিন হায়দার অর্থনীতিতে এম.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি ও কোরিয়ার কিংয়মহি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।